সত্য বলায় এসকে সিনহাকে জোর করে বিদেশ পাঠানো হয়েছে: মির্জা আলমগীর

সত্য বলায় এসকে সিনহাকে জোর করে বিদেশ পাঠানো হয়েছে: মির্জা আলমগীর

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সত্য কথা বলায়, সত্য রায় দেয়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে দেশ থেকে জোর করে বের করে দেয়া হয়েছে। তিনি আজ বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন।

শনিবার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, আমি শ্রদ্ধার কথা স্মরণ করে বলতে চাই, দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এই বন্ধাত্বের যুগে, যখন কেউ কোনো প্রতিবাদ করে না, সত্য বলে না, তখন এই মানুষটি দাঁড়িয়েছিলেন, প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি সত্য রায় দিয়েছিলেন, সত্য বলেছিলেন। এজন্য সরকার তাকে জোরজবরদস্তি করে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে।

বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাদের বক্তব্যে বিচারপতি সিনহার কথা উল্লেখ না করায় মর্মাহত হয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি আশা করেছিলাম আপনারা আজ তাকে স্মরণ করবেন। কিন্তু কেউ সেটি করলেন না। আমাদের সবার উচিত তাকে গভীর শ্রদ্ধা জানানো্ এবং তিনি যে কথাগুলো উচ্চারণ করে গেছেন সেগুলো বারবার বলা উচিত।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য সব আইনজীবীদের আন্দোলন নামার আহবান জানিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে মানুষ আইনের শাসন থেকে বঞ্চিত হবে।

জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট বার প্রাঙ্গণে হওয়া মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক জয়নুল আবেদীন।

প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর, চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/এমজে/১৫০০ঘ.)