সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনের আত্মসমর্পণে বাধার অভিযোগ

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনের আত্মসমর্পণে বাধার অভিযোগ

ঢাকা, ১৮ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : গ্রেফতার এড়িয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে চাইছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন। কিন্তু গুম, অপহরণ ও নির্যাতনের শঙ্কায় আদালতে হাজির হতে পারছেন না বলে জানান তিনি। চাদপুর-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে উচ্চ আদালতের শরণাপন্নও হতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

নবম সংসদ নির্বাচনের পর একাধিক মামলায় কারাগারে যেতে হয় তাকে। পরে আদালত থেকে জামিন নিয়ে তিনি চিকিৎসা ও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। এর পর দেশে ফিরলেও তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। তার অভিযোগ, আদালতে পৌঁছানোর আগেই তাকে গ্রেফতার করতে চাইছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ নিয়ে আদালত ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিএনপির এ নেতা। এরই মধ্যে চাঁদপুর-১ (কচুয়া-মতলব দক্ষিণের একাংশ) আসনে মিলনের পক্ষে বিএনপির মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবি। ওই আসনে তার স্ত্রীও একটি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

গত নির্বাচনের পর মিলনের বিরুদ্ধে পুকুরের মাটি চুরি, মোবাইল-ঘড়ি-আংটি-বালা-চেইন-ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই, ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণ, ভাংচুর, চাঁদাবাজি, বোমাবাজি, জুতা মারা, দাঙ্গা, লুটপাট, অপহরণসহ নানা অভিযোগে শতাধিক মামলা হয়। চাঁদপুর আদালতে বিচারাধীন এসব মামলায় তিনি দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন।

মিলন জানান, গত ১৩ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরেছেন। এর পর থেকেই চাঁদপুর আদালত ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে। দফায় দফায় তার বাড়িতে তল্লাশি করছে। এমনকি তার গুলশানের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতেও পুলিশ হানা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আইনের হাতে সোপর্দ হতে চান তিনি। কিন্তু পুলিশ তা হতে দিচ্ছে না। জামিনযোগ্য মামলায় অনুপস্থিত থাকায় তাকে আইন অনুযায়ী নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তিনি আদালতে হাজির হয়ে জেলে যেতেও প্রস্তুত। কিন্তু পুলিশের ভূমিকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/২১৪০ঘ.)