সারাদেশে পুলিশের বাঁধার মুখে বিএনপির গণতন্ত্রহত্যা দিবস পালন

সারাদেশে পুলিশের বাঁধার মুখে বিএনপির গণতন্ত্রহত্যা দিবস পালন

চট্টগ্রাম, ৫ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আজ দেশব্যাপী কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশের মারমুখী অবস্থান ও বাঁধার মুখেও গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার জুমার নামাজের পর চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাজির দেউরি মোড়ে সমবেত হয়। বিকাল ৩টার দিকে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে নাসিমন ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়।

পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কালো পতাকা কেড়ে নেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।

এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিাচর্জ করে। এতে ৭-৮ জন নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার ভঙিতে পুলিশের এসআই আব্দুর রউফ নেতাকর্মীদের দিকে তেড়ে যান। তবুও নেতাকর্মীরা কৌশলে সংঘাত এড়িয়ে নাসিমন ভবনে জড়ো হয়।

সেখানে কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

প্রধান বক্তা মাহবুবর রহমান শামীম বলেন, দেশে নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই। খুন গুম আর তথ্য সন্ত্রাস চলছে। আইনের শাসন নেই। বিচার বহির্ভূত হত্যার ভয়ে দেশের মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রীর বক্তব্যই প্রমাণ করে দেশে দুর্নীতির কি অবস্থা।

সমাবেশে বক্তব্য দেন নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সামশুল আলম, সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, যুবদল সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে কোন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র রক্ষায় বেগম জিয়াকে ভয় পান বলে সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার চক্রান্ত করছে। আইনের শাসন থাকলে এ মামলায় বেগম জিয়ার কিছুই হবে না।

বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাঁধা, হাতাহাতি, লাঠিচার্জ ও পিস্তল উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগর কোতোয়ালি থানার এসআই আবদুর রউফ বলেন, মিছিলের নামে সড়ক অচল করায় বাঁধা দেওয়া হয়েছে। কোনো লাঠিচার্জ করা হয়নি। কয়েকজন বিএনপি নেতা আইন অমান্য করায় একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।

 

খুলনায় বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটা; আহত ১৪, আটক ৫
খুলনায় বিএনপির মিছিলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিছিলে বাধা দেওয়ায় বিএনপি নেতারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে পুলিশ লাঠিপেটা করে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৪ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।

৫ জানুয়ারি বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নগরের সদর থানা মোড়-সংলগ্ন কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয় চত্বরের খুলনা নগর বিএনপি আয়োজিত কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ শুরুর আগে সমাবেশে আসা মিছিলে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্র থেকে দিবসটি পালনে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে নগর বিএনপির সমাবেশের কাজ শুরু হয়। বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল কর্মসূচিতে যোগ দেয়। বেলা সোয়া ১১টায় খালিশপুর থানা বিএনপির একটি মিছিল পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে থানার মোড়ে পৌঁছালে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা মিছিলের পেছনে লাঠিপেটা শুরু করেন। এতে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছোটাছুটি শুরু করলে সমাবেশস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ সমাবেশের অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, লাঠিপেটা, চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে এই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। পুলিশের লাঠিপেটা এবং নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেল ও চেয়ার নিক্ষেপের সময় অন্তত ১৪ নেতা-কর্মী আহত হন।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিএনপির পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন খালিশপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুবদল নেতা মেহেদি হাসান, রুহুল, লিপু মল্লিক ও কুদ্দুস।

দলীয় সূত্র জানায়, লাঠিপেটার সময় খালিশপুর থানা নেতা আল আমিনের পা ভেঙে যায়। তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে বিউটি বেগম ও হোসনে আরা নামের দুই নারী কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় দৌলতপুর থানা যুবদল নেতা জি এম মাসুদুল হকের মোবাইল ফোনটি তার হাত থেকে এক পুলিশ কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বিএনপিকে রাজপথে দেখলে পতন-আতঙ্ক শুরু হয়। অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পেটোয়া পুলিশ বাহিনী বিএনপির ওপর হায়েনার মতো হামলা পড়ে।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, হামলা চালিয়ে, মামলা দিয়ে, জেলে পুরে খুলনা বিএনপির নেতা-কর্মীদের দমন করা যাবে না। খুলনায় ৬৪ মামলায় ১২৮ চার্জশিটের আসামি। আরও এক শ মামলার আসামি হওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। আমাদের মামলার ভয় দেখাবেন না।

পুলিশকে উদ্দেশ করে নজরুল ইসলাম বলেন, খুলনা মাটি বিএনপির ঘাঁটি। এখানে চাকরি করতে হলে প্রজাতন্ত্রের সেবা করতে হবে। এখানে বসে অবৈধ সরকারের তাঁবেদারি করা চলবে না।

নগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, মীর কায়সেদ আলী, ফজলে হালিম লিটন, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, রেহানা আক্তার, মাহবুব হাসান পিয়ারু, আজিজুল হাসান দুলু, মুজিবর রহমান, কামরান হাসান, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

 

ময়মনসিংহে বিএনপির নেতাকর্মীদের গাছের ডাল দিয়ে পেটাল পুলিশ, আহত ১০
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে নেতাকর্মীদের পুলিশ গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা কালো পতাকা মিছিল বের করলে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আহাম্মেদ তাইয়েবুর রহমান হিরণ, অচিন্তপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান তালুকদার, ২ নম্বর গৌরীপুর ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সালাহ উদ্দিন বাচ্চু, যুবদল নেতা আজিজুল হক, কামাল হোসেন, ছাত্রদল নেতা হুমাইয়ুন কবীর, সেলিম আজাদ ও জুনায়েদ খান পাঠান।

আহত বিএনপি নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান আহাম্মদ তাইয়েবুর রহমান হিরণ অভিযোগ করে বলেন, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা কালো পতাকা মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উত্তর বাজার স্টেশন মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। গাছের ডাল দিয়ে নেতাকর্মীদের বেধড়ক পেটায় পুলিশ। এতে তিনিসহ ১০ জন আহত হন।

তবে মিছিলে লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার আহাম্মদ বলেন, ‘আমরা মিছিলে ধাওয়া দিয়েছি, লাঠিপেটা করিনি।’ পুলিশ মিছিলে লাঠিপেটার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও বেশ কিছু ছবিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিপেটা করতে দেখা গেছে।

 

সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারির কলংকিত গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীতে অনুষ্ঠিত কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের সভাপতিত্বে, জেলার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল ও মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্টারী মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে সহস্রাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে কালো পতাকা হাতে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান পয়েন্ট পদক্ষিণ শেষে চৌহাট্রাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে সমাপ্ত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেন- ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন অবৈধ বাকশালী সরকার দেশের রাজনীতির ইতিহাসে কলংকের কালেমা লেপন করেছে। তারা প্রহসনের ভোটারবিহীন নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জাতি গণতন্ত্র হত্যাকারীদের কোনো দিন ক্ষমা করবেনা। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের সকল ষড়যন্ত্রের সমুচিত জবাব দিতে দেশপ্রেমিক জনতা প্রস্তুত রয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম বলেন- আওয়ামী বাকশালীদের ৫ জানুয়ারির কথিত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে দেশপ্রেমিক জনতা প্রমাণ করেছে বিএনপির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। সেদিন ভোটকেন্দ্রে ভোটার না গেলেও অন্যকিছুর উপস্থিতি জাতিকে মর্মাহত ও লজ্জিত করেছে। এজন্য আওয়ামী বাকশালীদের ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। দেশে আর কোন প্রহসনের নির্বাচন দেয়ার আওয়ামী খায়েশ পুরন হতে দেয়া হবেনা। বাকশালীদের সকল ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাত করতে শহীদ জিয়ার সৈনিকদেরকে অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করতে হবে।

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন- আওয়ামী লীগ কোনোদিনই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাদের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস, তাদের ইতিহাস বাকশালের অভিশপ্ত ইতিহাস। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে তারা সুষ্ঠু ভোটে কোনোদিনই ক্ষমতায় যেতে পারবে না। অবৈধ আওয়ামী বাকশালীরা পুনরায় পাতানো নির্বাচনের ফন্দি করছে। কিন্ত তাদের সে ফন্দি জনগণ কখনো সফল হতে দিবে না।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও কালো পতাকা মিছিলে অংশ নেন- বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এডভোকেট নুরুল হক, মহানগর সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলার সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, সালেহ আহমদ খসরু, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালাম, হাজী শাহাব উদ্দিন, লুৎফুল হক খোকন, মহানগর উপদেষ্ঠা সৈয়দ বাবুল হোসেন ও সাইদুর রহমান বুদুরি, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দীকি, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বাচ্চু, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল মোর্শেদ, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, মহানগর দফতর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, জেলা দফতর সম্পাদক এডভোকেট মো: ফখরুল হক, জেলা প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, মহানগর প্রকাশনা সম্পাদক জাকির হোসেন মজুমদার, জেলা শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুরমান আলী, মহানগর শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ মিয়া, মহানগর ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক এৎাহারুল হক মন্টু, পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক আব্দুল জব্বার তুতু, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক হাবিব আহমদ চৌধুরী শিলু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: আশরাফ আলী, জেলা স্বাস্থ্য সম্পাদক আ ফ ম কামাল, মহানগর পরিবার কল্যান সম্পাদক লল্লিক আহমদ চৌধুরী, মানবাধিকার সম্পাদক মুফতী নেহাল উদ্দিন, সহ-কোষাধ্যক্ষ শেখ মো: ইলিয়াস আলী, জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, মহানগর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু, জেলা সহ-দফতর সম্পাদক দিদার ইবনে তাহের লস্কর, সহ-প্রচার সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে হেলাল আহমদ, আমিনুর রহমান খোকন, আব্দুল লতিফ খান, ডা: আব্দুল হক, এনামুল হক মাক্কু, শরীফ উদ্দিন মেহেদী, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, নজির হোসেন, উজ্জল রঞ্জন চন্দ, কয়েস আহমদ সাগর, আব্দুস ছবুর, মোতাহির আলী মাখন, অধ্যাপক মঈনুদ্দিন, এম মখলিছ খান, সাব্বির আহমদ, জসিম উদ্দীন, শেখ কবির আহমদ, সিরাজ খান, চৌধুরী মোহাম্মদ সোহেল, কাজী নঈমুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান, আলমগীর হোসেন, বাবর আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন সামুন, আলী হোসেন মুক্তার, আরিফ হোসেন, জিয়াউল হক, আজির উদ্দিন আহমদ, আব্দুল হান্নান, আব্দুল মন্নান, দেলোয়ার হোসেন রানা, রিহাদুল হাসান রুহেল, এম. এ রহিম, হাজী গোলজার আহমদ, জসিম আহমদ, খায়ের আহমদ, বদরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে মুহিবুর রহমান মুহিব, আব্দুল খালিক, দেলোয়ার হোসেন, মহিম আহমদ, রহিম আহমদ, সোহেল মাহমুদ, মির্জা সম্রাট, ফখরুল ইসলাম রুমেল, মলয় রায় ধর, আব্দুল হান্নান, সাদেক আহমদ, কায়সান মাহমুদ সুমন, সোহেল ইবনে রাজা, সাফায়েত হোসেন সামছু, শেখ দিপু, এনামুল হক, আব্দুর রহিম মতছির, তোফায়েল আহমদ, আব্দুস সালাম টিপু, কৃষ্ণ ঘোষ, ফজলে রাব্বী তাহসান, রেজাউল ইসলাম সুমন, মিনার হোসেন লিটন, আশফাক আহমদ, আলী আকবর রাজন, দুলাল রেজা, আনোয়ার হোসেন সুজন, আবু মোতাকাব্বির চৌধুরী সাকী, ফরিদ রেজা, জুনেল আহমদ, আব্দুর রহমান, খোকন ইসলাম, জবিউল আহমদ জগলু ও ডা: এ এম সাঈদ সুমিত প্রমুখ।

 

পুলিশের বাঁধার মুখে সুনামগঞ্জে গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালিত
সুনামগঞ্জে পুলিশের বাঁধার মুখে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। শুক্রবার বেলা ১১টায় শহরের পুরাতন বাসস্টেন্ড দলীয় কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ কামারখালী এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যারিকেড দিয়ে বাঁধা দেয়।

এ সময় পুলিশি বাঁধার কারণে উত্তেজনা দেখা দিলে নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। পরে এখানেই অবস্থান করে সমাবেশ করে বিএনপি। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক হুইপ ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাড ফজলুল হক আছপিয়া, সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলসহ বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ জানুয়ারির ভোটার বিহীন নির্বাচনে শতাধিক এমপি বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্রের কবর দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান সরকারের কাছে। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল নেতাকর্মীদের উপর দায়ের করা মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় রাজপথে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম করে জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

 

 

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের হামলায় আহত ৫
‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আজ সকালে কালো পতাকা সমাবেশ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির পাঁচ কর্মী আহত হন।

নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান আঙ্গুর, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল প্রমুখ।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্র হত্যা দিবসে আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালো পতাকা সমাবেশ শেষে মিছিল বের করি। এ সময় পুলিশ মিছিলের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের লাঠিচার্জে ছাত্রদল নেতাসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।

বক্তারা বলেন, বিএনপিকে বাদ দিয়ে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ছিল অগণতান্ত্রিক, অবৈধ। আওয়ামী লীগ অবৈধ নির্বাচন করে, অবৈধ সরকার গঠন করেছে।

সকাল ১০টায় শহরের ফায়ার সার্ভিস সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

পরে জেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তফা কামাল মন্টু, সহসভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর ও যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার সরদার মিজানুর রহমান কার্যালয়ের তালা খুলে ভেতরে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের বাধার মুখে বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের’ কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে ঝালকাঠি শহরে বিএনপি নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

 

(জাস্ট নিউজ/একে/২০৩৪ঘ.)