সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ও সম্পাদকের জামিন

সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ও সম্পাদকের জামিন

ঢাকা, ৭ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি কর্মচারীকে আঘাতসহ পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় করা দুই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দেয়ার আগ পর্যন্ত তাদের জামিন দেয়া হয়েছে।

রবিবার বিচারপতি মো: মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন দেন।

সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারে সরকার সমর্থক প্যানেল থেকে নির্বাচিত সহ-সভাপতি মো. ওজিউল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।

আইনজীবীরা জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটে দলটির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে ওইদিন রাতেই নাশকতা-সংঘর্ষ ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ এনে দুটি মামলা করেন। দু’টি মামলাতেই এ দু’জনসহ ৩৮ জন করে আসামি করা হয়। এ দুই মামলাতেই জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন আগাম জামিন পেয়েছেন।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ওইদিন বকশিবাজারে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় তিনি এবং সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ছিলেন। সেখান থেকে হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চে তারা মামলা করতে যান। সুপ্রিম কোর্টে সিসিটিভি দেখলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। আদালতে থাকার পরও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র আইনজীবী জমিরউদ্দিন সরকার, মওদুদ আহমদসহ শতাধিক আইনজীবী অংশ নেন।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, মামলায় ঘটনার সময় ৩টা ১০ মিনিট থেকে ৩টা ৪৫ মিনিট বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সিসি ক্যামেরা দেখলে দেখা যাবে আমরা এ সময় হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার শুনানি করতে উপস্থিত ছিলাম। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২২৯ঘ.)