আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন বিএনপির ৩৮ প্রার্থী, বাতিল ২০

আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন বিএনপির ৩৮ প্রার্থী, বাতিল ২০

ঢাকা, ৬ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন বিএনপির ৩৮ জন প্রার্থী। অপরদিকে দলটির ২০ জন প্রার্থীর আপিল নাকচ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আপিল শুনানির প্রথম দিনের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

পর্যালোচনা করে দেখা গেছে রিটার্নিং অফিসার লাভজনক পদে থাকার কারণে যেসব প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করেছিলেন আপিলে তার বেশিরভাগই প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন। এদিকে প্রথমদিনের আপিল শুনানিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার কমিশন প্রথম দিনের মতো আপিল শুনানি করেন। এতে আপিলের আবেদনকারীদের মধ্যে ১ থেকে ১৬০ ক্রমিক পর্যন্ত আবেদন নিষ্পত্তি হয়।

দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ১৬১ থেকে ৩১০ এবং তৃতীয় দিন শনিবার ৩১১ থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত তিন দিনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মোট ৫৪৩টি আপিল জমা পড়ে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল।

আপিলে বিএনপির যেসব প্রার্থী প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন তারা হলেন-বগুড়া-৭ আসনের মোরশেদ মিল্টন, ঝিনাইদহ-১ আসনের মো. আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ আসনের তমিজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের আখতারুজ্জামান, পটুয়াখালী-৩ আসনের গোলাম মওলা রনি, ঝিনাইদহ-২ আসনের আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ আসনের খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ আসনের সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ আসনের ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, পটুয়াখালী-৩ আসনের মো. শাহজাহান, সিলেট-৩ আসনের আব্দুল কাইয়ুম, জয়পুরহাট-১ আসনের ফজলুর রহমান, পাবনা-৩ আসনের মো. হাসাদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ-২ আসনের আবিদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের মো. আইনাল হক, খুলনা-৬ আসনের এসএ শফিকুল আলম, ময়মনসিংহ-৭ আসনের মো. জয়নাল আবেদীন, শেরপুর-২ আসনের একেএম মুখলেছুর রহমান, চট্টগ্রাম-১ আসনের নুরুল আমীন, কুমিল্লা-৫ আসনের মোহাম্মদ ইউনুস, চট্টগ্রাম-৩ আসনের মোস্তফা কামাল পাশা, গাইবান্ধা-৩ আসনের মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা-৫ আসনের মো. সেলিম ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৩ আসনের মুজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-১ আসনের মোহাম্মদ তোজাম্মেল হক, ময়মনসিংহ-৩ আসনের আহাম্মদ তায়েবুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবু আসিফ, পঞ্চগড়-২ আসনের ফরহাদ হোসেন আজাদ, মানিকগঞ্জ-৩ আসনের মো. আতাউর রহমান, ঢাকা-১৪ আসনের সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের আব্দুল খালেক, রাজশাহী-১ আসনের মো. আমিনুল হক, দিনাজপুর-১ আসনের মো. হানিফ, চট্টগ্রাম-৮ আসনের এরশাদ উল্লাহ, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাটোর-৪ আসনের আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের এমএ মুহিত ও সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের।

বিএনপির যেসব প্রার্থীর আবেদন নাকচ হয়েছে:
খাগড়াছড়ি আসনের আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, পঞ্চগড়-১ আসনের মো. তৌহিদুল ইসলাম, বগুড়া-৩ আসনের মো. আব্দুল মুহিত, বগুড়া-৬ আসনে একেএম মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জ-২ আসনের মো. জাকির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আখতার হোসেন, ফেনী-১ আসনের মো. নূর আহাম্মদ মজুমদার, লালমনিরহাট-২ আসনের মো. জাহাঙ্গীর আলম, রংপুর-৫ আসনের মমতাজ হোসেন, চট্টগ্রাম-৫ আসনের মীর মোহাম্মদ নাসির, নীলফামারী-৪ আসনের মো. আমজাদ হোসেন, নীলফামারী-৩ আসনের ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাইফুল ইসলাম শিশির, বাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের মুশফিকুর রহমান, নাটোর-২ আসনের রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, বগুড়া-৭ আসনের মোহাম্মদ সরকার বাদল, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের ইকবাল হাসান মাহমুদ, নওগাঁ-৫ আসনের মোহাম্মদ নাজমুল হক, যশোর-২ আসনের সাবিরা নুর ও মাগুরা-২ আসনের খন্দকার মেহেদী আল মাসুম।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২০০ঘ.)