ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করব: মির্জা আলমগীর

ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করব: মির্জা আলমগীর

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার বিকালে চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, কিছুদিন আগে বেশ কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যম বন্ধ করার সুপারিশ করেছিল। আজ জাস্ট নিউজ, শীর্ষ নিউজ, পরিবর্তন ডটকম, প্রিয় ডটকমসহ সেই গণমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, গণমাধ্যম যখন সেলফ সেন্সরশিপ শুরু করে তখন মানুষ ব্লগের প্রতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝোঁকে। কিন্তু আজ সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে ভয়াবহ অত্যাচার চালানো হচ্ছে।

মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা একটা অসমতল ভূমিতে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সুচিন্তিভাবে ভয়াবহ জঘন্য রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা করতে গিয়ে তারা সরকারি অর্থে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা শুরু হয়েছে। কোথাও কোনো সমতল ভূমি নেই। এজন্য বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর ভয়াবহ অত্যাচার চালানো হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ডিজিটালের কথা বলে তারা ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট ও ৫৭ ধারা করেছে। এর মাধ্যমে মুক্ত ও স্বাধীন চিন্তার মানুষদের আটক করা হচ্ছে।

ভেরিফাইড পেইজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে দেয়া কার্টুন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার্টুন দিতেই পারে। কিন্তু আমরা কার্টুন দিলেই মামলা দেয়া হচ্ছে। সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আমরা এখন মামলা শুরু করব, আইনগত ব্যবস্থা নেব। আমরা দেখব সরকার কি ব্যবস্থা নেয়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে পারিনি। আমাদেরকে নানাভাবে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। এজন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। শিগগিরই সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।

বেগম খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া সত্ত্বেও মুক্তি দেয়া হয়নি জানিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, বাংলাদেশকে যদি রক্ষা করতে চান তাহলে প্রচার প্রচারণার সুযোগ দিন অন্যথায় দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

আইএসআই প্রতিনিধির সঙ্গে তারেক রহমান ও বিএনপি নেতারা পাকিস্তান এম্বাসিতে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে মির্জা আলমগীর বলেন, কোনো সংস্থা বা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। অন্য কোনোভাবে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায় না। ওবায়দুল কাদেরের মতো দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও একটি দলের সাধারণ সম্পাদকের মুখ থেকে এ ধরনের কথা মানায় না।

এ ধরনের কোনো বৈঠক বিএনপির সঙ্গে হয়নি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তা মিথ্যা ভিত্তিহীন। এটা শুধুমাত্র বিএনপিকে হেয় করার জন্য প্রচার করা হয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮৩২ঘ.)