হামলা-গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসিকে ঐক্যফ্রন্টের দু’দিনের আল্টিমেটাম

হামলা-গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসিকে ঐক্যফ্রন্টের দু’দিনের আল্টিমেটাম

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ওপর সরকারি দলের নেতাকর্মীরা হামলা করছে জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, হামলা ও পুলিশি গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে আমরা দু’দিনের সময় দিয়েছে। আমরা বলেছি, দেশে সরকারি দলের লোকেরা যে সহিংসতা করছে তার বিরুদ্ধে একদিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে দু’দিনের মধ্যে এদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ দেখিতে চাই।

সোমবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট ক্ষমতা দেয়া আছে। কেন তারা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন না তা আপনারা (সাংবাদিক) জিজ্ঞাসা করেন।

ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, ভোট প্রার্থীদের ওপর ও তাদের সমর্থকদের ওপর এমন আক্রমণ আগে কখনো দেখিনি। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে কোথায়ও ধানের শীষের প্রার্থীর পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না। সব সরকারি দলের লোকদের পোস্টারে রয়েছে, এমন চিত্র কোথায়ও দেখিনি।

বৈঠকে সারা দেশের ৩০ জেলায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বৈঠকে আচরণবিধি বর্হিভূত পুলিশী অভিযানের নামে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, তল্লাশির নাম বাসাবাড়িতে তাণ্ডব, গুরুতর জখম, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধকরাসহ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত দাবি জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।

সোমবার দুপুর ২টায় রাজধানীর নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চার কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আ স ম রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, নজরুল ইসলাম খান, ড. মইন খান, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সারাদেশের যে ৩০ জেলায় সহিংসতার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হল- ঢাকা মহানগর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, জামালপুর, ঝিনাইদহ, ভোলা, চট্টগ্রাম, শেরপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, নরসিংদী, নাটোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট, মেহেরপুর, রংপুর, পাবনা, সাতক্ষীরা, ফেনী, সিরাজগঞ্জ ও হবিগঞ্জ। এছাড়াও বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা ও হামলা করা হচ্ছে বলে লিখিত অভিযোগ বলা হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৭১৬ঘ.)