তত্ত্বাবধায়ক না সহায়ক সরকার, ‌কোনটা চান? বিএনপিকে কাদের

তত্ত্বাবধায়ক না সহায়ক সরকার, ‌কোনটা চান? বিএনপিকে কাদের

ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে জাতি জানতে চায় আপনারা (বিএনপি) কোনটা চান? তত্ত্বাবধায়ক, সহায়ক না নির্বাচনকালীন সরকার? নির্দিষ্ট করে না বলে বার বার জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না। স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় এখানে নেই। কোনটা চান, রূপরেখা দিন।

সোমবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সরকারের চার বছরপূর্তি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির উদ্যোগে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

দশম সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, কেন বার বার ১৪ সালের কথা টেনে আনছেন? এখানে গণতন্ত্রের দোষ নেই, দোষ আপনাদের। আর এই জন্যই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে কথা।

বিএনপি নিজেরাই নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে আছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের কোন রূপরেখা নিয়ে তারা কোনো কথা বলেনি। আমরা আশা করেছিলাম তারা অন্তত সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবে। আসলে তারা সহায়ক চান, না নির্বাচনকালীন সরকার চান?।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।

সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, আমরা আমাদের সংবিধানের বাইরে যেতে পারব না। আর নির্বাচনকালীন সরকার সংবিধানের মধ্যেই রয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য সংসদীয় সরকার পদ্ধতির দেশের যেভাবে নির্বাচন হয়, আমাদের দেশেও একই পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। তার কোনো ব্যতিক্রম হবে না। বিএনপি বার বার ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বলে থাকে। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় এ ধরনের নির্বাচনী ফলাফল হয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করলে এ ধরনের কথা সরকারকে শুনতে হতো না।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নতুন কোনো বিষয়ের অবতারণা করে লাভ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সরকার যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালন করবে। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকার যেভাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)কে সহায়তা করেছে তেমনিভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও নির্বাচনকালীন সরকার ইসিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির উদ্যোগে অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে মোট ছয় হাজার কম্বল বিতরণ করা হবে। আজ দু’হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বাকী কম্বল দু’ধাপে বিতরণ করা হবে।

শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ উপস্থিত ছিলেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২২১ঘ)