সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করুন: খন্দকার মোশাররফ

সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করুন: খন্দকার মোশাররফ

ঢাকা, ২২ জানুয়ারি : সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ এই আহ্বান জানান।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর আর্বিভাব, বাংলাদেশ অবরুদ্ধ ও জনগণের জন্য আর্শিবাদ’ এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন- ভবিষ্যতে নির্বাচনকালীন একটি সরকার হবে। বর্তমান সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো অস্তিত্ব নেই। যদি নির্বাচনকালীন সরকার আপনি (প্রধানমন্ত্রী) মেনেই থাকেন তাহলে আপনার সংসদ আছে, আপনার দলের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্টতা আছে। সেই সংসদে সংবিধান সংশোধন করেন, সেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন একটি সরকারের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। সেইভাবে নির্বাচনকালীন সরকার এখনো সম্ভব সংবিধানে সংযোজন করা। সেটা করে সংবিধান মাফিক নির্বাচন হোক। জনগণের কাছে আপনারা ছেড়ে দেন তারা কাকে পছন্দ করে।

সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন, শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, শাহ আবু জাফর, আবুল হোসেন প্রমুখ।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, নির্বাচন নিয়ে যে পরিস্থিতি তারা সৃষ্টি করছে, দিন যত যাবে শঙ্কা আরো বাড়বে। সরকারের অনতিবিলম্বে ‘হুশ’ হওয়া উচিত। একটি নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যবস্থা করা উচিত। নচেৎ জনগণ তাদের ভোটের অধিকার নিজেরা রাস্তায় নেমে তা আদায় করবে।

‘আমরাও জনগণের দল হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সেই আন্দোলনে সেই সংগ্রামে থাকবো। আমাদের সেই দাবি আদায় করে ইনশাল্লাহ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশে হবে’-বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

সম্প্রতি জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার হবে। সেই সরকারের অধীনে একাদশ নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে খন্দকার মোশাররফ বলেন, উনি(ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, ‘আমরা নাকি নির্বাচনকালীন তিনটি সরকারের কথা বলি। তারা এখনো পরিষ্কার নয়। আমরা নির্বাচনকালীন তিনটি সরকারের কথা বলি নাই। পরিষ্কারভাবে আমরা বলেছি, নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে সেটা যেই নামেই হোক। এই সরকারটি নির্বাচন কমিশনকে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য সহায়তা করবে। সেই সহায়তা করার জন্য একটি সহায়ক সরকার হবে।’

এই সরকারের চরিত্র হবে নিরপেক্ষ চরিত্র। নির্বাচনকালীন সময়ে তাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়টি নিয়ে সরকার জনগনকে ‘বিভ্রান্ত’ করছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।

খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার চেয়েছে। দলের চেয়ারপারসন উপযুক্ত সময়ে সেই সরকারের একটা রূপরেখা দেবেন। সেই রূপরেখা নিয়ে বিএনপি জনগণের কাছে যাবে, তার স্বপক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য কর্মসূচি দেবে।

বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন খন্দকার মোশাররফ।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩০৩ঘ.)