এখনো ডিভিশন পাননি খালেদা জিয়া : মওদুদ আহমদ

এখনো ডিভিশন পাননি খালেদা জিয়া : মওদুদ আহমদ

ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে এখনো ডিভিশন বা প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা পাননি বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ব্যারিস্টার মওদুদ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন।


সংবাদ সম্মেলনে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনে মামলা করা হলেও তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে দণ্ডবিধির ৪০৯ নম্বর ধারায়। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রমাণিত না হওয়ায় বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

সাজা দিয়ে ওইদিনই বেগম খালেদা জিয়াকে একটি নির্জন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘যেখানে কোনো মানুষজন নেই। সরকার বলছে, তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তাঁর সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে কারাগারে। কিন্তু কারাগারে এখনো তাঁকে ডিভিশন দেওয়া হয়নি।’

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘আমরা কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। কর্তৃপক্ষ বলছে, ডিভিশন দেওয়ার জন্য আদালতের আদেশ ও জেলা প্রশাসকের কোনো নির্দেশনা তাঁরা এখনো পাননি। ফলে তাঁকে ডিভিশন দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা সরকারের এই আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাঁরা যে আদালতের আদেশ ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার কথা বলছেন এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর জন্য এসবের কোনো প্রয়োজন নেই।’

বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো আওয়ামী লীগের জন্য ‘পলিটিক্যাল ব্ল্যান্ডার’ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

রাজধানীর পুরান ঢাকায় অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থানরত খালেদা জিয়াকে যেন দ্রুত তাঁর প্রাপ্ত মর্যাদা দেওয়া হয় সেই দাবি জানান ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ।

গত বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পর পরই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে পুরান ঢাকার পুরোনো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

একই মামলায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড পেয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সলিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। তাঁদের প্রত্যেককে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৫০০ঘ.)