খালেদা জিয়াকে সাজা

বিএমএয়ের সাবেক নেতৃবৃন্দের নিন্দা

বিএমএয়ের সাবেক নেতৃবৃন্দের নিন্দা

ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় সাজা প্রদানের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএর সাবেক নেতৃবৃন্দ।

শনিবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান অবৈধ, অগণতান্ত্রিক, অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে দেশ জুড়ে গুম-খুন, অপহরণ, হামলা-মামলা, গ্রেফতার করে দেশের মানুষের জনজীবন দুর্বিসহ করে ফেলেছে। পুরো দেশকে একটা কারাগারে পরিণত করেছে। দেশে যেন কোন অবস্থাতেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে না আসে তার জন্য সকল ধরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নিরোপেক্ষ নির্বাচনের যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে তা নৎসাত করার জন্য বর্তমান সরকার উঠে পড়ে লেগেছে। তারই অংশ হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ক্যাঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি ও গ্রেফতার করেছে। বর্তমান সরকারের একমাত্র ভয় জিয়া পরিবার। তারা জানে জিয়া পরিবার থাকলে তারা সাধারণ জনগণকে নিয়ে এই একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠ নিরোপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করবে। এই ভয়-ভীত থেকে তারা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ায় বিদেশে ব্যাপক নিন্দার ঝড় বইছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ দেশের সাধারণ মানুষ বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে যে রায় দেয়া হয়েছে তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, মানবাধিকার সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানসমূহ। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইট্্সওয়াচ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বিএমএর সাবেক নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা আশা করছি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান সহ সকলের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার পূর্বক নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান করবে। অন্যথায় এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকারকে বহন করতে হবে।

উক্ত প্রতিবাদ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- অধ্যাপক ডাঃ বায়েছ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডাঃ এ কে এম আজিজুল হক, অধ্যাপক রফিকুল কবীর লাবু, অধ্যাপক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক ডাঃ মোস্তক রহিম স্বপন, ডাঃ এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডাঃ শহিদুল আলম, ডাঃ হারুন-আল-রশিদ, ডাঃ খুরশিদ জামিল চৌধুরী, অধ্যাপক ডাঃ মঈনুল হাসান সাদিক, অধ্যাপক ডাঃ আজিজ রহিম, অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল মান্নান মিয়া, অধ্যাপক ডাঃ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডাঃ রফিক চৌধুরী, অধ্যাপক ডাঃ আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন, অধ্যাপক ডাঃ শামিমুর রহমান, অধ্যাপক ডাঃ মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, অধ্যাপক ডাঃ এন এ কামরুল আহসান, ডাঃ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ডাঃ জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন জীবন, ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, ডাঃ আব্দুস সালাম, ডাঃ আমিরুজ্জামান খান লাভলু, অধ্যাপক ডাঃ রুহুল আমিন, ডাঃ ওয়াসিম হোসেন, ডাঃ আফসারুল হাবীব রোজ, ডাঃ সুমন নাজমুল হোসেন, ডাঃ প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস, ডাঃ মোফাখ্খারুল ইসলাম, ডাঃ খায়রুল ইসলাম, ডাঃ মোঃ আবুল কেনান, ডাঃ সাইফ উদ্দিন নেছার আহমেদ তুষান, ডাঃ মজিবুল হক দোয়েল, ডাঃ এম এ কামাল, ডাঃ রেহান উদ্দিন খান, ডাঃ সায়েফউল্লাহ, ডাঃ হাসান জাফর রিফাত-সহ দুইশতাধিক বিএমএর নেতৃবৃন্দ।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১৯৩৩ঘ.)