খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দীর্ঘায়িত করতে ষড়যন্ত্র চলছে : রিজভী

খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দীর্ঘায়িত করতে ষড়যন্ত্র চলছে : রিজভী

ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দীর্ঘায়িত করতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, আর এজন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

সোমবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী আহমেদ।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার চায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত হোক। তাই জামিনে থাকা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এটির মাধ্যমে পরিষ্কার হয় যে সরকার বিএনপির চেয়ারপারসনের জামিন বিলম্বিত করতে চায়। আর সেই জন্য তারা নতুন ষড়যন্ত্র করছে।

সরকার নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতেই বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় রায়ের পেছনে সরকারের অন্যায় ইঙ্গিত রয়েছে। আওয়ামী লীগ চায় আবারো ৫ জানুয়ারির মতো একতরফা ভোট করে ক্ষমতা ধরে রাখতে।

বিএনপি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন থেকে সরে আসবে না এবং তাকে মুক্ত করেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এ ছাড়া সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার বিরোধী পক্ষকে ঘায়েল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর তাই রাজনৈতিক দলগুলোর সভাসমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির কথা শুনলেই তাই ভীত হয়ে উঠে।

সরকারের পতনের সময় ঘনিয়ে এসেছে উল্লেখ করে রিজভী আহমেদ বলেন, আর তাই পতনের আগে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের বিরোধী দলের ওপর মরণ কামড় দিচ্ছে। শেষ চেষ্টা করছে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তির আন্দোলন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৮৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান রিজভী আহমেদ। এ ছাড়া গেল ৩০ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান তিনি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর পরই বেগম খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৩০ঘ.)