পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার জামিনের সম্ভাবনা, আদালত চত্বরে বিক্ষোভ

পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার জামিনের সম্ভাবনা, আদালত চত্বরে বিক্ষোভ

ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রবিবার জামিন হয়নি।

জামিনের আবেদনের ওপর শুনানির পর হাইকোর্ট বলেছে, বিচারিক আদালত থেকে রায়ের নথিপত্র পাওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত দেবেন। আদালতের কাছে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে গত ৮ ফ্রেবুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ড হয় বেগম খালেদা জিয়ার। সোমবার ঐ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে এবং তার জামিনের পক্ষে হাইকোর্টে আপীল করেন মিসেস জিয়ার আইনজীবীরা।

বিকালের দিকে ৪৫ মিনিটের মত শুনানির পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি সহিদুল করিম তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর হাইকোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শতাধিক বিএনপি পন্থী আইনজীবী।

এজলাসে বিশৃঙ্খলা

হাইকোর্ট চত্বর থেকে বিবিসি বাংলার শায়লা রুখসানা জানান, শুনানি শুরু হওয়ার আগে আদালতের এজলাস কক্ষে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পন্থী কয়েকশ আইনজীবী ভিড় করে।

এজলাসে ঢুকে বিচারকরা এত মানুষ দেখে চরম বিরক্তি প্রকাশ করে এজলাস থেকে বেরিয়ে যান। তার আগে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন- “এটা তো চাপ সৃষ্টি করার মতো অবস্থা। এভাবে তো কাজ করা যায় না।”

এরপর বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বিএনপি পন্থী অনেক আইনজীবীকে এজলাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। মিনিট ১৫ পর এজলাসে ফিরে আসেন বিচারপতি দুজন।

যুক্তিতর্ক

বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বয়সের কারণে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজনের যুক্তি তুলে ধরার পাশাপাশি বলেন- তিন বারের মত নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রী জামিন পাওয়ার যোগ্য।

মি আলম তার বক্তব্যে দুর্নীতির মামলায় জেনারেল এরশাদের এবং ভারতের সিনিয়র রাজনীতিবিদ লালু প্রসাদ যাদবের কারাদণ্ড হওয়ার নজির উপস্থাপন করেন। তবে আদালত একে ভিন্ন প্রসঙ্গ বলে মন্তব্য করেন। -বিবিসি

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/জেআর/০১১৪ঘ.)