কাদেরকে আর কিভাবে রাজনীতি শেখাব: এমাজউদ্দীন

কাদেরকে আর কিভাবে রাজনীতি শেখাব: এমাজউদ্দীন

ঢাকা, ২৬ ফেব্রয়ারি (জাস্ট নিউজ) : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ‘রাজনীতি শেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।

বিএনপিকে ‘ঘরে বা অফিসে বসে’ রাজনীতি করার বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়েছেন। এই বিভাগের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ক’দিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচিতে দেশজুড়ে পুলিশি বাধা ও গ্রেফতার করছে পুলিশ। এরপর থেকেই বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছিলেন, তাদের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই রবিবার এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের ‘ঘরে বা অফিসে বসে’ আন্দোলনের পরামর্শ দেন।

ছাত্র ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষক এমাজউদ্দীন বলেন, ‘আমার এককালীন ছাত্র আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল, তিনি বলেছেন- ঘরের মধ্যে থেকে রাজনীতি করেন অথবা অফিসে বসে রাজনীতি করেন। কিন্তু অফিসে বসে যে রাজনীতি হয় না, ঘরের মধ্যে থেকে যে রাজনীতি হয় না- এখন এই তরুণকে আমি কেমন করে শেখাবো? শেখাতে পারিনি হয়তো, আমাদের ব্যর্থতা।’

‘এভাবে দিন চললে পরিস্থিতি এমন অবস্থায় আসবে যখন আপনা-আপনি গতিটা দ্রুত হবে। হিংসাত্মক হওয়ার দরকার নেই। এজন্য অপেক্ষা বেশিদিন করার দরকার হবে না। কারণ, হিংসা-প্রতিহিংসা, নতুন হিংসা-প্রতিহিংসার জন্ম দেয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ উপাচার্য বলেন, নির্বাচন ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ১০ থেকে সাড়ে ১০ লাখ মানুষ প্রায় ৫০ হাজার মামলায় আসামি বা জড়িত হয়ে আছে। তাদের অনেকে কারাগারে, নির্বাচনের আগে তাদের প্রস্তুতিপর্ব চলতে দিতে হবে।

‘প্রধানমন্ত্রীকেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের আবহ তৈরি করে দিতে হবে। এসব না করে কিছুতেই নির্বাচনের দিকে যাওয়া যাবে না,’ বলেন তিনি।

‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং সংকটে আগামী জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২৪০ঘ.)