নিজাম হাজারীর এমপি পদের বাধা কাটল

নিজাম হাজারীর এমপি পদের বাধা কাটল

ঢাকা, ১ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এতে করে তার এমপি পদে থাকতে আর বাধা নেই।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর হাইকোর্টের একক বেঞ্চ রুলের নিষ্পত্তি করে দিয়ে এই রায় দেন।

পরে নিজাম হাজারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ ও নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, রিট ম্যান্ডেটেবল নয়, তাই আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। এতে নিজাম হাজারীর সংসদ পদে থাকতে আর বাধা নেই।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকা নিয়ে রুল নিষ্পত্তির রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এদিন ঠিক করেন আদালত।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন মণ্ডল।

বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে নিজাম হাজারীর আইনজীবী শুনানি করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বিচারপতি বিব্রত বোধ করেন। এরপর রিটের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর পর তিনি বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর বেঞ্চে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য পাঠান।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি বিচারপতি ফরিদ আহমেদের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এ মামলার শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন। ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর নিজাম হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের বিভক্ত রায় দেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. এমদাদুল হক তাঁর রায়ে রুল মঞ্জুর করে নিজাম হাজারীর পদে থাকাকে অবৈধ ঘোষণা করেন। আর কনিষ্ঠ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এ বিষয়ে করা রিট ও রুল খারিজ করে দেন। অর্থাৎ তাঁর রায়ে নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ। এরপর আইন অনুসারে রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে তিনি একক বেঞ্চে পাঠান। পরবর্তীকালে কয়েকটি একক বেঞ্চ বিব্রতবোধ করেন।

২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে নিজাম হাজারীকে নিয়ে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। পরে এই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৪১৪)