অনুমতি না মেলায় বিএনপির সমাবেশ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

অনুমতি না মেলায় বিএনপির সমাবেশ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ঢাকা, ২৮ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : কারান্তরীণ বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জনসভার ডাক দিয়েছিল দলটি। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় শেষ পর্যন্ত জনসভা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে তারা।

বুধবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত জনসভা করার অনুমতি দেয়নি সরকার। ফলে জনসভাটি স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে ১২ মার্চ ও ১৯ মার্চ জনসভা করতে পুলিশের অনুমতির জন্য আবেদন করা হলেও সরকারের নির্দেশে নিরাপত্তার অজুহাতে বিএনপিকে জনসভার অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। এরপর আবারো ২৯ মার্চে জনসভা করতে বেশ কয়েক দিন আগে বিএনপির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। মঙ্গলবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম খান এর নেতৃত্বে বিএনপির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পর আমরা বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম সরকার জনসভার অনুমতি দিবে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালই সাংবাদিকদের বলেছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জনসভার অনুমতি দিবে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে দেশ চালাচ্ছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে বলেই দেশটা এখন পুলিশের কব্জায়।

রিজভী আহমেদ বলেন, সোহরাওয়ার্দীতে জনসভার অনুমতির জন্য অপেক্ষা করলেও এখন পর্যন্ত আমরা জনসভার অনুমতি পাইনি। বিএনপির মতো একটি সর্ববৃহৎ দলকে শান্তিপূর্ণ সমাবশের অনুমতি না দেওয়া স্বৈরাচারি আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। অথচ ২৪ মার্চ গণতন্ত্র হত্যার দিনে সরকার প্রধানের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পার্টিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় গণতন্ত্রকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হলো। এছাড়াও সম্প্রতি আওয়ামী জোটের ছোট ছোট আরো অনেক দলকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী এ দুঃসময়ে শুধু বিপন্ন গণতন্ত্রের দীর্ঘশ্বাসই শুনতে পাওয়া যায়। দখল ও দুর্নীতির অন্তঃক্রিয়া আওয়ামী সংস্কৃতির ধারক। সেজন্যই আধিপত্য-অভিলাষী সরকার গণতন্ত্রকে ‘ফসিলে’ পরিণত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরাচারের যে স্বীকৃতি পেয়েছেন সেটি অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণিত হলো।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
একই দাবিতে সারা দেশে লিফলেট বিতরণ ও প্রতিবাদ কর্মসূচিসহ তিনটি বিভাগীয় শহরে জনসভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১লা এপ্রিল সারা দেশে লিফলেট বিতরণ ও ৩রা এপ্রিল প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ৪ঠা এপ্রিল রাজশাহী, ৭ই এপ্রিল বরিশাল ও ১০ই এপ্রিল সিলেটের জনসভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯২০ঘ.)