কুমিল্লার মামলায় গ্রেপ্তার খালেদা জিয়া

কুমিল্লার মামলায় গ্রেপ্তার খালেদা জিয়া

ঢাকা, ৮ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কুমিল্লার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রবিবার এই মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরা দেওয়ার দিন ছিল। কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য মো. কাইমুল হক জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করা হয়নি। পরে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুস্তাইন বিল্লাহ তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখান।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত ১০ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন।

২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হলে আগুনে পুড়ে আটজন যাত্রী নিহত হন। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালত আগেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ১২ মার্চ গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর কুমিল্লার আদালতে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিকেলে আদালতের বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে হাজিরা পরোয়ানা (পিডব্লিউ) জারি করেন আদালত। সেই হাজিরা পরোয়ানা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি বাস কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় আসামাত্র দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে ঘটনাস্থলে সাতজন ও হাসপাতালে নেওয়ার দুদিন পর আরো একজনসহ মোট আটজন মারা যান ও ২৭ জন আহত হন। এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হলে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা তদন্ত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মো. ইব্রাহিম।

দুই বছর এক মাস তিন দিন পর ২০১৭ সালের ৬ মার্চ কুমিল্লার আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সালাউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও বিএনপির উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ মনিরুল হক চৌধুরী, চৌদ্দগ্রামের জামায়াতের সাবেক সাংসদ সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির সাহাবউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. মিজানুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির শাহজাহান, চিওড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির ও ক্যাডার মেজবাহ উদ্দিন ওরফে নয়ন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদাসহ ৭৮ জনের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া মামলার ৫১ নম্বর আসামি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছর সাজা পেয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বেগম খালেদা জিয়া।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬৫৩ঘ.)