আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাদের পদত্যাগ

আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাদের পদত্যাগ

ঢাকা, ৯ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের একাধিক নেতা। এছাড়া ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অনেক নেতাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। সোমবার এসব পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

চলমান কোটা আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদধারী একাধিক নেতা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা নিয়মিত কর্মসূচিতে অংশ নেন। রোববার শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় তাদের এ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।

পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া নেতারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদের ট্যুরিজম বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ সাইফ, শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক শাখা ছাত্রলীগের উপ-অ্যাপায়ন বিষয়ক সম্পাদক অছিবুর রহমান, ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ হাসান সুজন।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে অধিকাংশ ছাত্রলীগ নেতার।

ট্যুরিজম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর নিজহাতে গড়া সংগঠন। ছাত্রলীগ ডাকসুর ভূমিকা পালন করে। ছাত্রলীগ ছাত্রদের অধিকারে কাজ করে। ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের বন্ধু। ছাত্রলীগের ভূমিকা কী দেখা গেলো? এই ছাত্রলীগ কোনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ করে জানি না। আমার বঙ্গবন্ধু আলাদা। তাই সজ্ঞানে আমি ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আর না, অনেক হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজনেস অনুষদ শাখার সভাপতি মো. বোরহান উদ্দীন বলেন, আমি শুনেছি সে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে। এখনো পদত্যাগপত্র হাতে পাইনি।

এছাড়া কোটা সংস্কার চেয়ে ছাত্রলীগের আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের অনেক নেতাই আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবাল রৌশনী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-গণযোগাযোগ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে নিজের ছাত্রত্ব হারিয়েছেন। তবুও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। আর এখনকার নেতারা পদ হারানোর ভয়ে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর পক্ষে কথা বলতে পারেন না। ছিঃ!

তিনি আরো লেখেন, অহিংস আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠেছে। যারা হসপিটালে আছে তারা আমাদেরই ভাই, বন্ধু। ক্ষমতা আজীবন থাকে না। এই আন্দোলন কোনো দলের না, এটা সব সাধারণ শিক্ষার্থীর আন্দোলন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৭০৫ঘ.)