ঢাবি থেকে ইফফাতের বহিষ্কার সংবিধানপরিপন্থী: আ.লীগ

ঢাবি থেকে ইফফাতের বহিষ্কার সংবিধানপরিপন্থী: আ.লীগ

ঢাকা, ১৩ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগের সভানেত্রী ইফফাত জাহানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বহিষ্কারাদেশ দেশের মৌলিক অধিকার ও সংবিধানের পরিপন্থী। তাঁকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করাও ঠিক হয়নি বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগের সভানেত্রীকে যে প্রক্রিয়ায় ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সেটি সঠিক ছিল না। ছাত্রলীগ তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে আমি মনে করি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

তদন্ত ছাড়া ইফফাতকে বহিষ্কার করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, একটি ছাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়া মৌখিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে দেওয়ার মতো ঘোষণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান দিতে পারে- এটি আমার কল্পনারও বাইরে। এটি দেশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী, সংবিধানপরিপন্থী, যেটি সমীচীন হয়নি। যে কেউ অপরাধ করলে সেটির তদন্ত হতে হবে। তদন্তের পর শাস্তি হবে। এখানে কোনো তদন্তই করা হয়নি।

গত মঙ্গলবার গভীর রাতে সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, ইফফাত প্রায়ই ছাত্রীদের ওপর নির্যাতন চালাতেন। তবে এত দিন ভয়ে কেউ মুখ খোলেননি। আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় এদিন রাতে বেশ কয়েকজনকে কক্ষে ডেকে চড়-থাপ্পড় দেন ইফফাত।

রাতে ছাত্রীদের চিৎকার শুনে সেখানে যান উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী মোর্শেদা খানম। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মোর্শেদার পায়ের রগ কেটে দেয় ইফফাত। খবর পেয়ে অন্য ছাত্রীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ইফফাতকে মারধর করে তাঁকে আটকে রাখেন। তাঁকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন অনেকে। অনেকে মোর্শেদার কেটে যাওয়া পায়ের ছবি তুলে ও ছাত্রী নির্যাতনের কথা লিখে ফেসবুকে শেয়ার করেন। মোর্শেদা ছাত্রলীগের সুফিয়া কামাল হল শাখার সহসভাপতি।

তাকে প্রথমে সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল ও পরে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ছাত্রী নির্যাতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে হলের সামনে বিভিন্ন হলের ছাত্ররা জড়ো হয়ে ইফফাতের বহিষ্কারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। ইফফাতকে বহিষ্কারের দাবিতে হলের ভেতরে ছাত্রীরা ও বাইরে কয়েক হাজার ছাত্র বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী হলে প্রবেশ করলে ছাত্রদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। পরে ইফফাতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানালে ছাত্ররা ফিরে যান।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬১৮ঘ.)