খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন আসছে : নজরুল ইসলাম

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন আসছে : নজরুল ইসলাম

ঢাকা, ১৮ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : কঠোর আন্দোলনে না গিয়ে বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের অস্ত্রকে শাণিত করছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে জোরদার আন্দোলন আসছে। বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসীন আলীর মুক্তির দাবিতে এই সভার আয়োজন করে ঢাকাস্থ লক্ষীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী সম্মিলিত পরিষদ।

আয়োজক সংগঠনের আহবায়ক আমির আমজাদ মুন্নার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় হয়ে যাওয়া বিএনপির সমাবেশে স্থানীয় নেতারা জোরদার আন্দোলন চেয়েছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা তাদেরকে বলেছি, অস্ত্র শুধু থাকলেই ব্যবহার করা যায় না, সেটাকে শাণ দিতে হয়, ধারালো করতে হয়, তাহলে সেটাকে ব্যবহার করা যায়। এখন সেই অস্ত্র শাণিত করার সময়। আর ঐক্য হলো সেই শাণিত করা। ঐক্যবদ্ধ হন, এক সাথে চলেন, জোরদার আন্দোলন আসছে। বিএনপির সেই আন্দোলনে নজরুল ইসলাম খান সহ সকল সিনিয়র নেতা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আজ কারান্তরীণ। আমরা বলি বেগম খালেদা জিয়া না, কারাগারে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার, আশা আকাঙ্খা সব কিছু আজ কারারুদ্ধ করা হয়েছে। এটাকে মুক্ত করতে হবে, আর মুক্ত করার জন্য যখন যা করা দরকার তখন সেটা করতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষ এবং যারা বিএনপি করে না তাদেরও আশা আকাঙ্খা গণতন্ত্র মুক্ত হোক। আর সবাই বিশ্বাস করেন, যিনি বার বার গণতন্ত্রে মুক্ত করেছেন সেই বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত না করতে পারলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল হবে না।

বর্তমান সরকারের শাসনামলে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, একটা রিক্সাওয়ালা, ছোট দোকানদার পর্যন্ত অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। সারা দিনের হালাল উপার্জন পর্যন্ত তারা ভোগ করতে পারে না সরকারের নেতা-কর্মীদের অত্যাচারে। আর প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছেন না।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, যিনি জাতীয়ভাবে স্বীকৃত স্বৈরাচার, আর যিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বৈরাচার, এই দুই জন মিলে এখন দেশ শাসন করছে। আর সেই শাসনের অধীনে আমরা।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২৩৫ঘ.)