'খালেদা জিয়াকে মাইনাস করলে প্রধানমন্ত্রী নিজে মাইনাস হবেন'

'খালেদা জিয়াকে মাইনাস করলে প্রধানমন্ত্রী নিজে মাইনাস হবেন'

ঢাকা, ১০ মে (জাস্ট নিউজ) : এক এগারোর সরকার ঘোষণা দিয়ে ‘মাইনাস টু’ বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। সেই কুশীলরা এখনো সক্রিয় উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যারা মাইনাস টু’র পরিকল্পনা করেছিল তারা এখন একজনকে দিয়ে আর একজনকে মাইনাস করতে চাচ্ছে। অর্থাৎ তখন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতে চেয়েছিল। এখন তারাই শেখ হাসিনাকে দিয়ে খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতে চায়। যদি একজনকে মাইনাস করতে পারে তাহলে আর একজনকেও তারা মাইনাস করে দেবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ ও গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের যৌথ উদ্যোগে ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোশাররফ বলেন, শেখ হাসিনার মাধ্যমে যারা খালেদা জিয়াকে মাইনাস করাতে চায় তারা যদি খালেদা জিয়াইকে মাইনাস করাতে পারে তার কয়েকদিনের মধ্যে শেখ হাসিনাকেও মাইনাস করবে।

শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্র থেকে আপনি পিছু হটেন। সরে আসেন, না হলে মাইনাস টু এর যে পরিকল্পনা ছিল তা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। আপনি খালেদা জিয়াকে মাইনাস করবেন তা ভুলেও চিন্তা করবেন না।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়নি, দেশের গণতন্ত্রকে কারাগারে রাখা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার উচ্চতর আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বিত করছে। শুধু আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। কারণ বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকলে অন্যায়ভাবে তাকে ৫ বছরের সাজা দেয়া যেত না। তাই আমরা বিচার বিভাগ থেকে তার মুক্তি আর আশা করতে পারি না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলন করেই মুক্ত করতে হবে। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছি। একটা সময় ধৈর্যের সীমা থাকবে না। তখন স্বাভাবিকভাবেই মানুষ কঠিন থেকে কঠিনতম আন্দোলনে যাবে। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তিনি আরও বলেন, আজকে যারা মনে করেন বিএনপি গণজাগরণ সৃষ্টি করতে পারবে না, তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই ছাত্রদের যে কোটা আন্দোলন হয়েছিল সেটা কারা করেছিল জানি না, তবে তিন দিন আগেও আমরা কেউ জানতাম না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে, এই ইস্যু জনগণের ইস্যু তাই আমি মনে করি কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেভাবে আন্দোলন হয়েছিল সেভাবে জনজোয়ারের সৃষ্টি হবে। সেটার জন্য কেউ নোটিশ দেবে না, সময়ও কেউ বলে দেবে না। কোনো স্বৈরাচারই গণজাগরণের সামনে টিকতে পারে নাই। আইয়ুব খান, এরশাদ টিকতে পারে নাই। শেখ হাসিনাও টিকতে পারবে না।

খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী’র সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সভাপতি এড. সৈয়দ এহসানুল হুদা, ঢাকা মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬০০ঘ.)