ঘরের মাদক ব্যবসায়ীদের আগে ধরুন: সরকারকে মির্জা আলমগীর

ঘরের মাদক ব্যবসায়ীদের আগে ধরুন: সরকারকে মির্জা আলমগীর

ঢাকা, ২১ মে (জাস্ট নিউজ) : মাদক নির্মূলে সাড়াঁশি অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মৃত্যুর সমালোচনা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একে ‘বিচারবহির্ভুত হত্যা’ আখ্যা দিয়ে আগে ক্ষমতাসীন দলের ‘মাদক কারবারিদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। কক্সবাজারের এক সংসদ সদস্যের কথা উল্লেখ করে তার মতো লোকদের নেতৃত্বেই দেশে মাদকের কারবার চলছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

সোমবার বিকালে ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের ইফতারের আগে বক্তব্য রাখছিলেন মির্জা আলমগীর।

গত ৪ মে মাদকবিরোধী সাড়াঁশি অভিযান শুরু করে র‌্যাব। আর এই অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে ‘বন্দুকযুদ্ধে’। এর মধ্যে গত রাতেই মারা গেছে ৯ জন। র‌্যাব বা পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ প্রতিটি বর্ণনাই একই রকম। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে, ‘মাদক কারবারি’ র সহযোগিতা আক্রমণ করেছে এবং গোলাগুলি এক পর্যায়ে নিহত হয়েছে সন্দেহভাজন।

মির্জা আলমগীর বলেন, আজকে নতুন করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিযান শুরু হয়েছে। ভালো কথা। আমরা অবশ্যই চাই যে, মাদকমুক্ত হোক, আমরা অবশ্যই চাই যে, যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের ব্যবস্থা করা হোক, এই মাদক নির্মূল করা হোক। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, বিনা বিচারে মানুষকে হত্যা করা হবে।

ক্ষমতাসীন দলে মাদকের কারবারি আছে অভিযোগ করে তাদের মধ্যে পরিচিতদেরকে গ্রেপ্তারেরও দাবি জানান মির্জা আলমগীর। তিনি বলেন, সবার আগে নিজের ঘরের মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেপ্তার করুন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।

মির্জা আলমগীর বলেন, আপনাদের কক্সবাজারের টেকনাফের এমপি (আবদুর রহমান বদি) তাকে তো জামিন দিয়ে দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি মহানন্দে এই ব্যবসা শুরু করেছেন। একজন দুই জন নয় অসংখ্য, প্রায় প্রত্যেকটি জায়গায় তাদেরকেই আজকে আপনারা (সরকার) ছেড়ে দিয়েছেন যারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

মাদকবিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ছয়টি জেলায় ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। আজকে গোটা দেশে এই ক্রসফায়ারের নামে বিচারবর্হিভুত হত্যার নামে বহু বিরোধী পক্ষকে হত্যা করা হয়েছিল।

‘আপনারা দেখেছেন কীভাবে গুম করা হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, চৌধুরী আলমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৫/৬ বছর পার হয়ে গেছে-এরকম অসংখ্যক মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।’

মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এই অভিযানের তীব্র নিন্দা করেছেন। একে সংবিধানবিরোধী আখ্যা দিয়ে আসামিদেরকে ধরে আদালতের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

(জাস্ট নিউজ/একে/২১২৮ঘ.)