জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ঘোষণায় দুরভিসন্ধি থাকতে পারে: মওদুদ আহমদ

জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ঘোষণায় দুরভিসন্ধি থাকতে পারে: মওদুদ আহমদ

ঢাকা, ৮ জুন (জাস্ট নিউজ) : জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষণায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, আমরা এতদিন সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাতে কর্ণপাত করেনি। এখন তারা হঠাৎ করে সেনা মোতায়েনের কথা বলছে। এতে তাদের কোন দুরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন: সরকারের ভুমিকা ও জনগনের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, সেনাবাহিনী শুধু কেন্দ্রের বাইরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নিয়োগ করলে হবে না তারা যাতে কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার যে বাজেট দিয়েছে তার বাইরে সুন্দর হলেও ভিতরে ফাঁকা। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বাজেট দেয়া হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কিছুই নেই। এ বাজেট দিয়ে জনগনের কোন উন্নয়ন হবে না। বাজেটে দুর্নীতি কমানোর কোন কথা বলা হয়নি। জাতীয় নির্বাচন কিভাবে হবে তা বলা হয়নি। সুশাসন প্রতিষ্ঠার কোন কথা নেই। এ বাজেট বাস্তবায়িত হলে গরীব আরো গরীব হবে, ধনীরা আরো ধনী হবে।

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, বিরোধীদল নির্মূল করতে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। অনেককে বাড়ি, রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মাদক কারবারি সাজিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আদালত কি তাদের দোষী সাবস্ত করেছে? তাহলে কিসের ভিত্তিতে তাদের হত্যা করছেন? এসব হত্যার বিচার একদিন হবে।

মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা চাই মাদক নির্মূল হোক। কিন্তু গত নয় বছরে কেন অভিযান চলেনি? এখন নির্বাচনের আগে কেন এ অভিযান শুরু হল। আবার ইয়াবা সম্রাট আপনাদের এমপি বদিকে ওমরায় পাঠিয়ে দিলেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। শুধু ২০ দল নয়, সারা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে বিএনপিকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ক্ষমতা নয় গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনাই হবে আমাদের লক্ষ্য।

তিনি সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারাই এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আবার আপনারাই বাতিল করেছেন। এখন আপনাদেরই এটি ফিরিয়ে আনতে হবে। এক্ষেত্রে সংবিধানের দোহাই দিলে চলবে না। কারণ সংবিধান মানুষের জন্য, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬০৫ঘ.)