যুবদল নেতা টুকু কারাগারে

যুবদল নেতা টুকু কারাগারে

ঢাকা, ১২ জুন (জাস্ট নিউজ) : রাজধানীর শাহবাগ থানার নাশকতার মামলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী এ আদেশ দেন।

ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে টুকুকে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে টুকুর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া রিমান্ডের আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

শুনানি শেষে বিচারক মামলার মূল নথি না থাকায় আগামী ২০ জুন রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে টুকুকে তার উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতেই বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে। সালাহউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান মাসুদুর রহমান।

নথি থেকে জানা যায়, চলতি বছর বেগম খালেদা জিয়া বিশেষ আদালত থেকে বাসায় যাওয়ার সময় অজ্ঞাত আসামিরা গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেয়। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানার পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় টুকুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এদিকে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠী তাদের কাঙ্খিত একদলীয় শাসনকে চিরস্থায়ী রুপ দিতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরকে অব্যাহত গতিতে মিথ্যা, উদ্ভট ও বানোয়াট মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার করছে এবং জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে হেনস্তা করার কুটকৌশল এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে অগ্রাহ্য করে সম্পুর্ণ গায়ের জোরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার পর থেকে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ণ অব্যাহত রেখেছে।’

মির্জা আলমগীর আরো বলেন, ‘গতরাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুকে গ্রেপ্তার বর্তমান শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক চলমান অপরাজনীতির আরো একটি উদাহরণ। আমি অবিলম্বে সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’

(জাস্ট নিউজ/একে/২২২৭ঘ.)