খন্দকার মোশাররফের গাড়িবহরে বাসের ধাক্কা, ছাত্রদলকর্মী নিহত

খন্দকার মোশাররফের গাড়িবহরে বাসের ধাক্কা, ছাত্রদলকর্মী নিহত

ঢাকা, ১৯ জুন (জাস্ট নিউজ) : কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে দাউদকান্দি পৌর ছাত্রদল নেতা জুয়েল মিয়া (১৯) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২ জন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আমিরাবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জুয়েল মিয়া দাউদকান্দি উপজেলার দোনারচর গ্রামের মৃত ছাদেক মিয়া প্রধানের ছেলে। জুয়েল এ বছর দাউদকান্দি উপজেলার হাসানপুর শহীদ নজরুল সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

উপজেলা বিএনপি ও যুবদল সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। নয়টি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। আমিরাবাদ এলাকায় পৌঁছালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস দ্রুত গতিতে এসে বহরের চারটি গাড়ি ও মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের আরোহী জুয়েল মিয়া নিহত হন। আহত হন ১২ নেতা-কর্মী।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জাহিদ হোসেন, ছাব্বির হোসেন, রিফাত হোসেন, আল-আমিন, দেলোয়ার হোসেন, ইমরান হোসেন ও মাজহারুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হৃদয় মিয়া, আশিক সরকার, রাকিব হোসেন, ইমদাদুল হক ও চিত্ত রঞ্জন দাসকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছেন। অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে গেছেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে সড়ক দুর্ঘটনা আইনে হাইওয়ে থানায় মামলা করবে।

দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জালাল হোসেন বলেন, ঢাকায় পাঠানো আহত সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দীন দিদার বলেন, দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন নিজ এলাকার একটি ইউনিয়নে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি গাড়ি ছিল। যে মাইক্রোবাসে জুয়েল মিয়া ছিলেন, সেই গাড়িটিকে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রামগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন জুয়েল। দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। তিনি এখন নিরাপদে আছেন।

ঘটনার পর হতাহত ব্যক্তিদের দেখতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। পরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন নেতা-কর্মীদের নিয়ে জুয়েল মিয়ার জানাজায় যান।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৬০৫ঘ.)