ছাত্রলীগের মন শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার রঙ্গে রাঙ্গানো: রিজভী আহমেদ

ছাত্রলীগের মন শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার রঙ্গে রাঙ্গানো: রিজভী আহমেদ

ঢাকা, ১ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নেয়াটা ছিল প্রধানমন্ত্রীর তামাশা মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, সমগ্র জাতি এখন সেই রঙ-তামাশার দৃশ্য অবলোকন করছে। মূলত: প্রধানমন্ত্রী সেদিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করেছেন।

রবিবার বেলা ১২টায় নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগের মন শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার রঙ্গে রাঙ্গানো। এই সময়ের ছাত্রলীগ প্রকৃত কোন ছাত্র সংগঠন নয়, এটি প্রধানমন্ত্রীর ভাড়াটিয়া বাহিনী। এদের মধ্যে নেই জ্ঞানের আলো, শিক্ষার আদর্শ, সহমর্মিতা ও সহিষ্ণুতা। প্রতিবাদের আওয়াজকে গুঁড়িয়ে দিতেই গুন্ডামীর চেতনায় এদেরকে তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনকে বাকশালী খাঁচায় বন্দী করার জন্যই বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রলীগকে তৈরি করা হয়েছে আতঙ্কের অপর নাম হিসেবে। শিক্ষাঙ্গনের গণতন্ত্রবিরোধী বিপজ্জনক শক্তি হচ্ছে ছাত্রলীগ।

তিনি বলেন, বর্তমানে খুন, জখম, হাঙ্গামা, হল দখল, সীট বাণিজ্য, শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার প্রতীকে পরিণত হয়েছে বর্তমান ছাত্রলীগ। আর সেজন্যই পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগও নেমে পড়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আন্দোলনরত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্ষতবিক্ষত করতে। গতকাল কোটা সংস্কার আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানান রিজভী আহমেদ।

রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনপি চেয়ার পারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে হাতের মুঠোয় নিয়ে কোন অশুভ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বারবার বলা হয়েছে- যে প্রোষ্টেটিক কমপেটিবল এমআরআই মেশিন, উন্নতমানের সিটি স্ক্যান, ডেক্সা স্ক্যান ফর বিএমডি (বনমেরু ডেনসিটি) টেষ্ট, নার্ভ কন্ডাকশন স্টাডি ফ্যাসিলিটিজ, ইএমজি ইত্যাদি যা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জরুরি সেটি’র সুবিধা থাকায় আমরা ও তার স্বজনরা ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসার কথা বলেছি। কিন্তু সরকার মুক ও বধির হয়ে আছে। ইউনাইটেড হাসপাতালে দেশনেত্রীকে সুচিকিৎসা না দিতে সরকার মনে হয় শপথ নিয়েছে। আর এই শপথের উদ্দেশ্যই হচ্ছে-জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ক্রমাগত কষ্ট দিয়ে তাঁর জীবনকে বিপন্ন ও বিপর্যস্ত করা। আমরা আবারো দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই- বেগম জিয়ার প্রতি এই অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ন্যুনতম কোন ক্ষতি হলে সরকার জনগণের ক্রোধ থেকে রেহাই পাবে না। আমি আবারো দলের পক্ষ থেকে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে সুচিকিৎসার জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন আলাল, খাইরুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪২০ঘ.)