রাসিকের হলরুম ব্যবহার করে আ’লীগের মেয়র প্রার্থী লিটনের পক্ষে কর্মচারীদের প্রচারণা!

ঢাকা, ৯ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে সিটি কর্পোরেশনের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী ও ইউনিয়নে নেতৃবৃন্দ সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে কর্পোরেশনের এ্যানেক্স ভবন ব্যবহার করে রবিবার দুপুরের আলোচনা সভা করেন।

যেখানে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে সভা করেন সেই ডায়াসে মাস্টার রোল ও সাধারণ ডেইলী মজুরী ভিক্তিক কিছু কর্মচারী বসে আলোচনা সভা করেন। যা এই কর্পোরেশনের ইতিহাসে হয়নি বলে জানা গেছে। তারা এই হলে বসে লিটনকে ভোট প্রদান করার জন্য সকল কর্মচারীকে চাপ প্রয়োগ করেন এবং লিটনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

এনিয়ে ইতোমধ্যে কর্পোরেশনে খোদ আওয়ামী পন্থি কর্মচারীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী এর বিরোধীতা করে বলেন, এই ধরনের কার্যক্রম তারা কখনো আশা করেননি। তারা এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান। সেইসাথে এই বিষয় নিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে ডায়াসে বসে ছিলেন কর্মচারী ইউনিয়নে সভাপতি দুলাল, সাধারণ সম্পাদক মামুন, রিপন ও লাবুসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

রাসিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আলোচনা সভা করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাইনি।

আমরা সবাইকে নিয়ে বসে আলোচনা সভা করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার সিটি নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিব। সরকারী দপ্তরের সভাকক্ষে এমন সভা করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা সভা করেছি। যায় কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

এসএ টিভির রিপোর্টে বিস্তারিত এই লিংকে https://www.facebook.com/100008631782439/videos/1897743510523357/

মেয়র ও রাসিকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা যে চেয়ারে বসেন সেই চেয়ারে আপনারা বসতে পারেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মেয়র যেখানে বসেন সেই চেয়ারে বসেনি। অন্য চেয়ারে বসে আলোচনা সভা করেছি। তবে ছবিতে দেখা যায়, তারা ডায়াসে বসেই আলোচনা সভা করেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৩০০ঘ.)