ব্যাংকের ভল্ট থেকে সোনা চুরি স্বৈরাচারী সরকারের আলামত: খন্দকার মোশাররফ

ব্যাংকের ভল্ট থেকে সোনা চুরি স্বৈরাচারী সরকারের আলামত: খন্দকার মোশাররফ

ঢাকা, ১৭ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচারী সরকারের কারণে মানুষের যেমন নিরাপত্তা নেই, তেমনি ব্যাংকেরও নিরাপত্তা নেই৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজাভ চুরির পর ভল্ট চুরি স্বৈরাচারী সরকারেরই আলামত। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কী ব্যবস্থা নেয় তা দেখার জন্য জাতি অপেক্ষায় আছে। একদিন জনগণ এর বিচার করবে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদোগে ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং সরকারের নীল নকশা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকায় খবর আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড। ৯৬৩ কেজি সোনা ভল্টে জমা ছিলো। ছিলো সোনার চাকতি হয়ে গেছে মিশ্র ধাতু। ২২ ক্যারেট সোনা হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট সোনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এর আগে রির্জাভ চুরি হলো, আবার ব্যাংকের ভোল্টে এই ধরনের ঘটনা- এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, এগুলো কিসের আলামত? এগুলো হচ্ছে স্বৈরাচারী সরকারের আলামত। তারা দেশটাকে লুটেপুটে খাওয়ার জন্যে যেখানে যা করা দরকার তা আজকে করছে। আমরা এই সভা থেকে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা আমরা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হওয়ার পরে যেভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, এই ভোল্টের কারসাজির পর আবার যদি এ রকমের ধামাচাপা দেওয়া হয় তাহলে জনগণের কাছে একদিন তাদের সকলকে জবাবদিহি হতে হবে।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া, বিএনপিকে ছাড়া, জনগণকে ছাড়া নির্বাচন করার জন্য এই সরকার নীলনকশা আঁটছে। এ থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আমরা জানি কোনো স্বৈরাচার ইচ্ছা করে সরে যায়নি। পৃথিবীতে এমন ইতিহাস নাই।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, আমরা বলতে চাই, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনে এমন আন্দোলন সৃষ্টি করা হবে যার মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হবে এবং একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকাররের অধীনে সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নির্বাচন হবে।

নির্বাচনের আগে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবেন জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই আমরা একাদশ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করব। ইনশাল্লাহ জনগণ তাদের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে এবং জনগণের সরকার হলেই বর্তমান সংকট থেকে জাতি মুক্তি পাবে।

এ সময় গঠনের উপদেষ্টা মেহেদি হাসান পলাশের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, জামায়াতে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা সোয়াইব আহমেদ, বিএনপির আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাসাসের শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৫৩০ঘ.)