রসিক নির্বাচন

বিএনপির পোলিং এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে: রিজভী

বিএনপির পোলিং এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে: রিজভী

ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর পর বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন চলাকালেই রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।

ধানের শীষের প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার বরাত দিয়ে বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, ভোট শুরুর আগের রাতেই শহীদুল নামে বিএনপির এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গত রাতে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বর্তমান সরকারের মন্ত্রী পদমর্যাদায় থাকলেও গত চার দিন ধরে রংপুরে অবস্থান করছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মতবিনিময় ও ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। পাশাপাশি জাতীয় পার্টির আরেক নেতা ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাও রংপুরে অবস্থান করে মিটিং-মিছিল করেছেন যা পুরোপুরি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা নির্লজ্জের মতো নির্বিকার থেকেছে। আসলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনও যে আওয়ামী মহাজোটকে খুশি করার কাজে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেটা তার একটি উদাহরণ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতারাও প্রতিনিয়ত নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছেন। কিন্তু এরপরও নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কোনও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এছাড়া ১৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৮টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছে কমিশন। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বেশি। অথচ এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।

রিজভী বলেন, আমরা শুরু থেকেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বললেও ইসি সেনা মোতায়েন করেনি। বরং সেখানে আনসার সদস্যের নামে আজ নিয়োগ করা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতাকর্মীদের। বলা হয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য নিযোগ করা হয়েছে। বাস্তবে বেছে বেছে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের অনুসারী ক্যাডারদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের ইশারায় ঠুঁটো জগন্নাথের মতো নীরবতা পালন করেছে। বিরোধী দলগুলোর ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বিমাতাসূলভ আচরণ করেছে। সব মিলিয়ে আজ রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপক্ষে হওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আবারও গভীর সন্দেহ ও সংশয় প্রকাশ করছি।

বিএনপির রংপুর নির্বাচন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল হাসান টুকু বলেন, রংপুরে লাঙলের আকর্ষণ কমে গেছে। এখন বিকল্প হিসেবে ধানের শীষকে মানুষ বেছে নিয়েছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকলে রংপুরে ভোট বিপ্লব ঘটতো। মানুষ এতদিন লাঙলে ভোট দিয়েও কোনও ফল পায়নি। মানুষ ধানের শীষ চায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, মুনির হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১২৪২ঘ.)