নয়াপল্টন জনসমুদ্র

আন্দোলনের প্রাথমিক মহড়া বিএনপির

আন্দোলনের প্রাথমিক মহড়া বিএনপির

ঢাকা, ২০ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : দীর্ঘদিন পর রাজপথে সমাবেশ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলটির নেতাকর্মীরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর রাজধানীতে কোনও সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি। গত ৬ মাসে দলের পক্ষ থেকে রাজধানীতে ৭ থেকে ৮ বার সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে পুলিশের অনুমতি না থাকায় একবারও সমাবেশ করতে পারেনি দলটি। এতে রাজধানীতে বড় ধরনের কোনও আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। এজন্য সরকারের অনেক মন্ত্রী ও এমপি বিএনপিকে তিরস্কার করে বলেছেন- বিএনপির আন্দোলন করার কোনও মুরোদ নেই। এখন সরকার দলের নেতারা কি বলবেন? আজকের সমাবেশের লোকসমাগম প্রমাণ করে বিএনপির এখন নেতাকর্মী ও জনসমর্থন দুটোই রয়েছে। এছাড়া সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।

শুক্রবার বেলা তিনটায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সমাবেশে যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন বলেন, এ সমাবেশে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হয়ে প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি তাদের আস্থা নেই। এছাড়া দীর্ঘদিন পর সমাবেশ করতে পেরে আমরা খুশি।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান শামীম বলেন, সরকার দীর্ঘদিন সভা-সমাবেশ করতে না দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। দীর্ঘদিন পর সমাবেশ করতে পেরে নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত। সরকার যে মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে, আর এটা যে দেশের জনগণ বিশ্বাস করে তার প্রমাণ সমাবেশে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি। আন্দোলন ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয় সেটাও নেতাকর্মীরা বুঝতে পেরেছে।

ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন রাজধানীর গ্রিনরোড় থেকে এসেছেন বিএনপির সমাবেশ দেখতে। তিনি বলেন, আমি বিএনপির সমর্থক। এতদিন সরকার যে বলেছে বিএনপির সমাবেশ করার লোক নাই, নেতাকর্মী নেই। আজকের সমাবেশের পর সরকারের লোকেরা কী বলবেন? তারা এখানে এসে দেখে যাক বিএনপির নেতাকর্মী আছে কি নাই।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, এই সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে মনে হচ্ছে অবরুদ্ধ গণতন্ত্র আস্তে আস্তে মুক্তি পাচ্ছে। আজকের সমাবেশ আগামী দিনের আন্দোলনের প্রাথমিক মহড়া বলতে পারেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৯০৩ঘ.)