সময় আসলে কর্মসূচি দেয়া হবে: মওদুদ আহমদ

সময় আসলে কর্মসূচি দেয়া হবে: মওদুদ আহমদ

ঢাকা, ২২ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সময় আসলে কর্মসূচি দেয়া হবে। সে কর্মসূচিতে থাকবে- নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

তিনি বলেন, এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হবে। আবার দেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে।

বুধবার বিকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নে মানিকপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় মওদুদ অভিযোগ করেন, আমার ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ওপর পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

তিনি বলেন, ঈদের দিন বিকালে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বসুরহাট বাজার ও ভুঞারহাট বাজারে গিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা ছিল। পুলিশ আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি।

‌‌‌মওদুদ জানান, কোম্পানীগঞ্জের ওসি আসাদুজ্জামান তাকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন। ডিবি পুলিশ তার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছে। বাড়ির সামনে-পেছনে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অবস্থান করেছে।

বিএনপির এ নেতার অভিযোগ, পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীরা তার বাড়ির সামনে ও পেছনে মহড়া দিচ্ছে।

মওদুদ বলেন, আমার ভুঞারহাট যাওয়ার কথা ছিল। সেটা জেনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মহড়া দিচ্ছেন। মঙ্গলবার বিকালেও কবিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডাররা লাঠি মিছিল করেছে।

তিনি বলেন, আজকেও কবিরহাট থানার ওসি মির্জা মোহাম্মদ হাসান আমাকে মুঠোফোনে বলেছেন, আমি যেন কবিরহাট এলাকায় না যাই।

মওদুদ বলেন, আমরা কোনো সংঘাতে যেতে চাই না। আমার দলীয় নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে। সংঘাতের সময় এখনও আসেনি। সেজন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এগুলো এড়িয়ে চলবো।

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত আমি অবরুদ্ধ রয়েছি। এ এলাকার সাংসদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে পুলিশ প্রশাসন এসব করছে বলে অভিযোগ করেন মওদুদ।

তিনি বলেন, আমি ক্ষমতায় নেই, আমার বিরুদ্ধে জনরোষ হবে কেন। সরকারি দল বলে যাচ্ছে জনরোষের কারণে আমাকে পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। যারা বিরোধী দলে থাকেন তারা জনরোষে পড়ে এটা জানতাম না। জনরোষ হয় যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের বিরুদ্ধে।

‌‌‌‌‌তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদেরের এ আচরণ আমাকে মর্মাহত করেছে। আমি মনে করেছিলাম ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় গণতন্ত্রের চর্চা থাকবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তার এলাকায় গণতন্ত্রের বিন্দুমাত্র চর্চা নেই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজি আবদুল হাই সেলিম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিকদার, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রিপন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, সাধারষ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুল কবির ফয়সল, সাধারণ সম্পাদক জাহেদুর রহমান রাজন, পৌরসভা সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল হক আরিফ প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/২২১০ঘ.)