সরকারের অবসান ঘটানোর জন্য মানুষ প্রস্তুত হয়েছে: মওদুদ আহমদ

সরকারের অবসান ঘটানোর জন্য মানুষ প্রস্তুত হয়েছে: মওদুদ আহমদ

ঢাকা, ৩১ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : বর্তমান সরকারের অবসান ঘটানোর জন্য বাংলাদেশের মানুষ আজকে প্রস্তুত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ইয়ুথ ফোরামের আয়োজনে ‌‘খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, জাতীয় সংকট সমাধানে একমাত্র পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি মন্তব্য করেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, দেশের মধ্যে যারাই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চান তারা আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়া শুরু করেছে। একটা জাতীয় ঐক্য হবে। কারণ আমরা গুম দেখতে চাই না। হত্যা, অপহরণ দেখতে চাইনা।

তিনি বলেন, যখন কোটা আন্দোলন হল সবাই বললো খুব ভাল। সরকারও বললো ভালো। দুই চারদিন যাওয়ার পর তাদের উপর সরকার চড়াও হলো। গ্রেপ্তার করা শুরু করল। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনেও একই অবস্থা হল। আমার ভয় হয়, কারণ কামাল হোসেনরা যখন জাতীয় ঐক্য নিয়ে আলোচনা শুরু করল সরকার বললো ভালো। গণতন্ত্রের জন্য ভালো আলোচনা। কিন্তু এখন ঐক্য বেড়ে সামনের দিকে যাচ্ছে। এখন সরকারের ভেতর ভয় ঢুকে গেছে।

তিনি আরও বলেন, সামনের দিনে যখন এই ঐক্য জনমত তৈরি করবে তখন হয়তো এই সরকারই সবার আগে আঘাত হানার চেষ্টা করবে। কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরতদের যেভাবে আঘাত করেছে, গ্রেপ্তার করেছে সেভাবে আঘাত ও গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু এবার আর তা পারবে না।

সরকারের উদ্দেশ্যে মওদুদ আহমদ বলেন, নির্বাচনের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে ততো এটা নিয়ে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু যতোই আরপিও সংশোধন করুন, আর মিথ্যাচার করুন এবার আর অত্যাচার করতে পারবেন না। বাংলাদেশের মানুষ আজকে প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অবসান ঘটানোর জন্য। সামনে জাতীয় ঐক্য হবে, আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে এবং সুষ্ঠ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পাবে। এখন বাংলাদেশে একটি মাত্র ইস্যু। এখানে মানুষের স্বাধীনতা নাই, কথা বলার অধিকার নাই, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নাই। এগুলো ফিরিয়ে আনা এখন একমাত্র কাজ।

ইভিএম ব্যাবহারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যে দেশে ব্যাংকের টাকা হ্যাকিং করা যায় সে দেশে নির্বাচনে ভোট গ্রহণে মেশিন ব্যবহার করা নিয়ে কোনভাবেই আস্থা নেই জনগনের। এই মেশিন কারা নিয়ন্ত্রণ করবে। এই নির্বাচন কমিশন। যাদের উপর আমাদের আস্থা নেই। এই জন্য নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ব্যবহারের এই সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখ্যান করি। ব্যালটে ভোট হলে তাতে সমস্যা দেখা দিলে পুনরায় গণনা করা যাবে। কিন্তু ইভিএম-এ সমস্যা দেখা দিলে পুনরায় গণনার কোন সুযোগ নেই। হ্যাকিং হলেও বোঝার উপায় নেই।

সংগঠনের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্ব ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নোয়াখালী বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লা আল বাকী, জাতীয় নাগরিক মঞ্চের সভাপতি ইসমাইল তালুকদার খোকন প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪১৫ঘ.)