গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়া, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে নেয়ার আহ্বান আইনজীবীদের

গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়া, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে নেয়ার আহ্বান আইনজীবীদের

ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

শুক্রবার পুরাতন ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান।

জয়নাল আবেদীন বলেন, “আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ভালোভাবে কথা বলতে পারছেন না। প্রচণ্ড ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন। দ্রুত তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।

“উনার অবস্থা এমন খারাপ যে তার পক্ষে কোর্টে যাওয়াও সম্ভবপর হবে না।”

জয়নাল আবেদীন বলেন, আজ সাক্ষাতে ম্যাডামকে যেভাবে দেখেছি তাতে তিনি কিভাবে আগের দিন আদালতে এসেছেন সেটা ভাবছি। তিনি বাম হাত নাড়াতে পারেন না। বাম পাশ পুরো অবশ হয়ে গেছে। চোখেও প্রচন্ড ব্যথা হয়। চোখের ভবিষ্যত কি সেটা বলা যাচ্ছে না। কারাগারের ভেতরে রেখে তাকে চিকিৎসা না দেয়ায় এই অবস্থা হয়েছে।

তাই আমরা মনে করি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়া হোক। ইউনাইটেড, অ্যাপোলো বা যে কোনো বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হোক। আগে চিকিৎসা তার পর বিচার।

বেগম খালেদা জিয়ার বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তিনি ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে আইনজীবীরা কারাগারে পৌঁছে সাক্ষাতের অনুমতি চান। ৫টার কিছুক্ষণ আগে কারাগারে সাক্ষাতের জন্য প্রবেশ করেন। প্রায় ১ ঘন্টা সাক্ষাত শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বের হন।

সাক্ষাতে যাওয়া আইনজীবীরা হলেন - বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার জমির উদ্দীন সরকার, আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, আব্দুর রেজ্জাক খান ও জয়নুল আবেদিন।

বুধবার কারাগারের ভেতর বিশেষ জজ আদালতে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলার শুনানিতে খালেদা জিয়া বিচারকের উদ্দেশে বলেন, “আপনার যতদিন ইচ্ছা সাজা দিন, আমি এ অবস্থায় বারবার আসতে পারব না। এই আদালতে ন্যায়বিচারও হবে না।”

নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথাও জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “আমার বাঁ পা ঠিকমত রাখতে পারি না, প্যারালাইজড হয়ে যাওয়ার মত। বাঁ হাতেও অনেক ব্যথা।”

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯১৮ঘ.)