খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না: নজরুল ইসলাম খান

খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না: নজরুল ইসলাম খান

চট্টগ্রাম, ১৪ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : এই সরকার যেমনি অমানবিক তেমনি দানবিক। এই দুটো ছাড়া আর কোনো গুণ নেই এই সরকারের। এই সরকারের হাতে দেশের জনগণ যেমন নিরাপদ নয়, তেমনি দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে শুধু। আসন্ন নির্বাচনেও ভোট লুটের সকল নীল নকশা তৈরি করে ফেলেছে এই সরকার। তাই সেনাবাহিনী ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনদিনও সুষ্ঠু হবে না। এমন কথা বলেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামের হাটাহাজারী উপজেলার লালিয়ার হাট মাদরাসা মাঠে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।

তিনি বলেন, এ সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে জেলে বন্দি করে রেখেছে। বিএনপির বয়োবৃদ্ধ নেতাদেরকেও জেলে বন্দি করে রেখেছে। যাতে ভোটের মাঠে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকে। এ সুবাধে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো দানবীয় কায়দায় ভোট কেড়ে নিয়ে আবারো ক্ষমতায় যাওয়া নীল নকশা তৈরি করে রেখেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না। নেত্রীসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির জন্য আমাদের আরো ইস্পাত কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অতীতের মত বীর চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলনের এই তীব্রতা বাড়াবে নেতাকর্মীরা।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মত দলের প্রতি অনুগত নেতা রাজনৈতিক অঙ্গনে আর জম্মাবেনা। ওয়াহিদুল আলমের মৃত্যুকালে তার দুঃখ ছিল একটাই নেত্রীকে তিনি মুক্ত দেখে যেতে পারেননি। রাজনৈতিক জীবনে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতি করার আহবানই ছিল সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের রাজনৈতিক শেষ বক্তব্য। বিএনপি নেতাকর্মীদের তার বক্তব্য মেনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, রাজনীতিতে ওয়াহিদুল আলমের অবদান আলোচনায় শেষ করা যাবে না। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আপোষহীন ছিলেন তিনি। প্রতিটি রাজনৈতিক সংকটে ছিলেন সহায়কের ভূমিকায়। তিনি ছিলেন একজন সৎ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ। রাজনীতিতে তার অবদান ছিল অসাধারণ। তাই চট্টগ্রাম মহানগরে আরো একটি শোক সভা করার ঘোষণা দেন তিনি।

চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় বক্তব্য আরো রাখেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, গোলাম আকবর খন্দকার, এসএম ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, দীপেন দেওয়ান, এডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, ফরিদা ইয়াসমিন, প্রয়াত সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের কন্যা ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। শোকসভায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ানসহ চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গদলের নেতাকর্মী ও হাজার হাজার সাধারণ মানুষ অংশ নেন। শোকসভা শেষে প্রয়াত সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের লালিয়ারহাটস্থ বাড়িসহ স্থানীয় তিনটি কমিউনিটি সেন্টারে (জয়নব, আইএস ও সানোয়ারা) একযোগে অর্ধলক্ষাধিক লোককে মেজবানে আপ্যায়ণ করা হয়। সবশেষে উপস্থিত থেকে সফল করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মী ও জনসাধরাণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা।

(জাস্ট নিউজ/একে/২০২১ঘ.)