শেখ হাসিনার রোষানলে খালেদা জিয়া

এ সপ্তাহে ৫ দিনই হাজিরা

এ সপ্তাহে ৫ দিনই হাজিরা

বিশেষ প্রতিবেদন, ১৪ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার রোষানলে পড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীর ওপর রীতিমত নজিরবিহীন নির্যাতন চালানো হচ্ছে। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের অনুগত আইন সচিব দুলালকে দিয়ে সম্পুর্ণ মিথ্যা মামলার মাধ্যমে দেশনেত্রীকে শারিরিক এবং মানসিকভাবে ভয়ংকর নিপীড়ন চালাচ্ছে। পিস্তল হাতে বিভিন্ন বিচারকের বাসায় গিয়ে হুমকি দিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করা দুলালের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে ও নির্দেশেই বেগম জিয়াকে তথাকথিত বিচারের নামে ক্যাঙ্গারু কোর্টে প্রতি সপ্তাহে তিন- চার দিন করে হাজিরা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের সবচেয়ে প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, বর্ষীয়ান একজন মা-কে নিয়ে প্রহসন করছে। গত সপ্তাহে তাকে তিনবার নেয়া হয় কোর্টে। চলতি সপ্তাহের ৭ দিনের মধ্যে ৫ দিনই কোর্টে হাজির থাকতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ারকে ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ এবং ২১ জানুয়ারী আদালতে হাজিরা দিতে আদেশ জারি করা হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন আদালতে হাজিরা দিতে বাধ্য করার ঘটনায় বিচারের নামে শেখ হাসিনার ব্যক্তি আক্রোশ স্পস্ট হয়ে পড়েছে।

বেগম খালেদা জিয়া বরাবরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শেখ হাসিনা যেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজের নামে থাকা দুর্নীতির মামলাগুলো প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছেন এবং জরুরী অবস্থা চলাকালীন সময়ে মামলায় হাজিরা থেকে রেহাই পেতে বিদেশে গিয়ে পালিয়ে থেকেছেন, সেখানে বেগম খালেদা জিয়া তার উপর অন্যায় এবং মিথ্যা মামলাগুলোতেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিয়মিত আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন।

আইনের প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার এই শ্রদ্ধাকে সরকার আদালতের মাধ্যমে এই বর্ষীয়ান নেত্রীকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশের আদালতগুলোতে লক্ষ লক্ষ মামলা চলছে। কোনো মামলার তারিখ সপ্তাহে তিনবার করে দেয়া এবং সেই তারিখে বিবাদীকে স্ব-শরীরে হাজিরা দিতে বাধ্য করা, অন্যথায় জামিন বাতিল করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করার হুমকি দেয়ার মত জঘন্য দৃষ্টান্ত কেবল বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে এখন দেখতে পাচ্ছে মানুষ। পৃথিবীর ইতিহাসে এই নজিরবিহীন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে।

শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নিম্ন আদালতের বিচারকদের আচরণবিধি প্রনয়নের সময় উচ্চ আদালতের এখতিয়ারকে রাষ্ট্রপতির হাতে দেবার ছলে প্রকৃতপক্ষে তুলে দেয়া হয়েছে আইন সচিবের হাতে । এরপর দলীয় আইনসচিব দুলালকে দিয়ে বিচারককে প্রভাবিত করে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিচারের নামে নিষ্ঠুর জুলুম করা হচ্ছে। দুলাল কোর্টে স্ব-শরীরে উপস্থিত না থেকে নিজেই বেগম জিয়ার মামলার কলকাঠি নাড়ছে। বেগম জিয়াকে বছরব্যাপী চূড়ান্তভাবে হয়ারানী নাজেহাল ও অপদস্ত করার জন্য ইতিমধ্যে আরো ১৪ টি মিথ্যা মামলা বকশিবাজারের বিশেষ কোর্টে স্থানান্তর করা হয়েছে হাসিনার সরাসরি নির্দেশে। তাকে আদালতে প্রতিদিন ব্যস্ত রাখার জন্য এই নীলনক্সা বাস্তবায়ন করছে হাসিনা। যাতে আগামী নির্বাচনে জনগনের কাছে যেতে না পারেন তিনি।তবে বিশ্বের অন্যতম অভাবনীয় জনপ্রিয় নেত্রীর প্রতি অবৈধ সরকারের এই নির্যাতনে সারাদেশের মানুষ ফুসে উঠতে শুরু করেছে। দেশজুড়ে রাজপথে নেমে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে দশ বছর দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া জনগন। চারদিকে গণঅভ্যূত্থানের পদধ্বনী শোনা যাচ্ছে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/প্রতিনিধি/১০২০ঘ.)