জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের জোরালো ভূমিকার তাগিদ

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের জোরালো ভূমিকার তাগিদ

নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ সংবাদদাতা, ২ জুন (জাস্ট নিউজ): বিশ্ব জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকা আরও জোরালো হওয়া প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি পিটার থমসন বলেছেন, বিশ্ব জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে কেবল বাংলাদেশ নয় তলিয়ে যেতে পারে উন্নত রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডাও।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘ওশান কনফারেন্স’ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ ব্রিফিং এ জাতিসংঘ সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ নিয়ে সম্মেলনে বিশ্ব কি ভূমিকা রাখতে পারে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন ‘ইউএন ওশান কনফারেন্স’ কে ঘিরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (ইকোনোমিক এন্ড সোশাল অ্যাফেয়ার) উ হংবুও বক্তব্য রাখেন। আগামী ৫-৯ জুন জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ুর মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। ২০৫০ সালের মধ্যে এর ১৭ শতাংশ সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর তাতে গৃহহীন হয়ে পড়বে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ লোক। বাংলাদেশের মতো অধিক জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ব্যাপারে কি ভূমিকা নেওয়া হবে ‘ওশান কনফারেন্সে’? কারণ পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশ নয়, বরং দায়ী উন্নত দেশগুলো।

প্রশ্নের উত্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি পিটার থমসন বলেন, সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকিতে কেবল বাংলাদেশ নয় বিশ্বের আরো অনেক দেশ রয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সে দেশের প্রতিনিধিদেরকেই আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।

জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলায় বিশ্বের সব দেশকে দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সম্মেলনের একটা বড় বিষয় হচ্ছে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। সবার কাছ থেকেই এর সমাধান আসতে হবে। সমুদ্রের পানি বা জলবায়ু বিভিন্ন কারণেই দূষিত হতে পারে। এ দূষণ এর কারণ জানা ও প্রতিকার জরুরি।

এসডিজি-১৪ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের অনান্য ঝুঁকিময় দেশগুলোর বিষয়ে মনযোগ দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন থমসন।


(জাস্ট নিউজ/জিইউএস/১৩৫০ঘ)