জাতিসংঘের ব্রিফিংএ তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ

মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার আহবান জাতিসংঘের

মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার আহবান জাতিসংঘের

নিউইয়র্ক থেকে মুশফিকুল ফজল আনসারী, মে ৩ (জাস্ট নিউজ): বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিয়মিত নুন ব্রিফ্রিংয়ে বাংলাদেশি সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক এ আহবান জানান।

গণমাধ্যমের অধিকার সুরক্ষার আহবান জানিয়ে ফারহান বলেন, আমরা দেখতে চাই বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে কেউ বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছেন না।

ব্রিফ্রিংয়ে জাতিসংঘ সংবাদদাতা ও জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’র প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জানতে চান, আপনি বলেছেন এ বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- গণমাধ্যম, ন্যায়বিচার আর আইনের শাসন। বিশেষ করে এ ইস্যুতে আমি বাংলাদেশ প্রসঙ্গের কথা বলছি। দেশটি বিষয়গুলো থেকে অনেক দূরে অস্থান করছে। বর্তমান শাসনগোষ্ঠী মিডিয়াকে কড়াকড়ি নজরদারিতে রেখেছে। সর্বশেষ রিপোটার্স উইদাউট বর্ডারস গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর যেপ্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬ তম। আর দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যে দেশটির অবস্থান একেবারে তলানিতে। আর আইনের শাসনের কথা বলি তাহলে দেখবেন- প্রধানবিচারপতিকে জোরপূর্বক দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আরো যদি এমন আইনের শাসনের নমুনার কথা বলি, আপনি নিশ্চয়  অবগত আছেন যে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী নেত্রীকে একটি প্রহসনের রায়ে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।  বিরোধী দলের আরেক শীর্ষ নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মি: রহমানের যে কোনো বক্তব্য বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচারে কোর্টের মাধ্যমে সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অন্যদিকে আশ্চর্যজনকভাবে সরকার তার গোয়েন্দা সংস্থা ও নিজস্ব মিডিয়া ব্যবহার করে মি: রহমানের ব্যক্তিগত ফোনালাপ প্রকাশ করছে। একটি সদস্য রাষ্ট্রের এই যখন অবস্থা, তখন অন্ধকার থেকে উত্তরনে প্রকৃতপক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব কি ভূমিকা নিতে পারেন?

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবসহ এ বিষয়টিতে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক কমর্কান্ড এক হয়ে করা উচিত। এটি এমনভাবে হওয়া উচিত যাতে করে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করে। আর বছরের শেষদিকে যে নির্বাচন হবে তা যেনো শান্তিপূর্ণ হয়।

রাজনৈতিক মতবিরোধ দূর করে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র আরো বলেন, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক কমর্কান্ড এক হয়ে করা উচিত। এটি এমনভাবে হওয়া উচিত যাতে করে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করে। আর বছরের শেষদিকে যে নির্বাচন হবে তা যেনো হয় অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ।

(জাস্ট নিউজ/জিএস/০৩৩০ঘ)