রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, দাতাদের সমর্থন আদায়ে বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, দাতাদের সমর্থন আদায়ে বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ সংবাদদাতা, জুন ২৯ (জাস্ট নিউজ): রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি স্বচক্ষে অবলোকন, করণীয় নির্ধারণ আর আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর অধিক সমর্থন আদায়ে মিয়ানমারে সামরিক অভিযান আর মানবিক বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে ১ জুলাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্থোনিও গুঁতেরেস। এসময় তারঁ সফর সঙ্গি হচ্ছেন বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট ড জিম ইয়ং কিম। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফ্রিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজাররিক।

এ সফরে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি ও সংকট নিরসনে একটি মধ্যম পর্যায়ের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া জাতিসংঘ এবং বিশ্ব ব্যাংক শরণার্থীদের জন্য তাঁদের পাশে থাকার অঙ্গিকার পুর্নব্যক্ত করবেন বলে জানান ডোজাররিক।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট।

আগামী ২ জুলাই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহ পরিদর্শনে যাবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। সেখানে রোহিঙ্গাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়া শরণার্থীদের সহযোগিতা বাড়াতে দাতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন তাঁরা।

শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং জাতিসংঘ পপুলেশন ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক ডা. নাতালিয়া খানেম জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বিশ^ব্যাংক প্রেসিডেন্টের সফর সঙ্গি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন আর আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কিভাবে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপত্তার সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে করণীয় নির্ধারণ ও আলোচনা করবেন। সফর শেষে ৩ জুলাই নিউইয়র্ক ফিরবেন মহাসচিব।

উল্লেখ্য গত ২৬ জুন ইউনাইটেড নেশনস করসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আলাপাচারিতার এক ফাঁকে বাংলাদেশি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছিলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থান স্বচক্ষে দেখতে তিনি বাংলাদেশে যাচ্ছেন।

এসময় বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংকট, প্রধান বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস ও তাঁর শারীরিক অসুস্থতায় সরকারের অমানবিক আচরণ এবং মানবাধিকার লংঘনের মতো বিষয়গুলো আসন্ন এ সফরে গুরুত্ব পাবে কি-না মর্মে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, এবারের সফরটি কেবল রোহিঙ্গাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও করণীয় নির্ধারণের জন্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংক এই সফরটির সমন্বয় করছে। তবে বাংলাদেশের সকল অবস্থা সম্পর্কে অবগত রয়েছেন বলে জানান বিশ্ব সংস্থার এই কর্ণধার।

(জাস্ট নিউজ/জিএস/১১২০ঘ)