নিজ দেশে ফেরা এখনো নিরাপদ নয়: মুখপাত্র হিদার

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ডিপার্টমেন্ট মুখপাত্র হিদার ন্যুয়ার্ট

ওয়াশিংটন থেকে বিশেষ সংবাদদাতা, ২০ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র। এখনো তাদের জন্য নিজ দেশে ফেরা নিরাপদ নয় বলে মনে করছে দেশটি। মঙ্গলবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন মনোভাবের কথা ব্যক্ত করেন মুখপাত্র হিদার ন্যুয়ার্ট।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশী সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা চুক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চান- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিশেষ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার যখন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করছে ঠিক সে সপ্তাহে কয়েক ডজন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার ছবি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত এমন ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে বলে মানবাধিকার সংগঠনের দাবি। সংঘাত বন্ধ ও রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফেরার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নিশ্চয়তার মধ্যে এমন ঘটনা পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। গত ২৩ নভেম্বর দু’টি দেশ ৬ লাখ ৫৫ হাজার শরণার্থীর মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রত্যাবাসনে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। এমন বাস্তবতায় আসলেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া সম্ভব?

জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্ট মুখপাত্র হিদার বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি শরণার্থীরা অবশেষে নিজ ভূমিতে ফিরে যাক। ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে গত আগস্ট থেকে সীমান্তে পার হতে বাধ্য করা হয়েছে।

হাজার হাজার শরণার্থীকে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিরাট উদারতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে পাশে দাঁড়িয়েছেে। তবে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে এই আর্থিক সহায়তা সরাসরি সাহায্য সংস্হাগুলির কাছে পৌঁছানো হয়েছে। অন্য কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠির কাছে নয়।

প্রত্যাবাসন চুক্তি প্রসঙ্গে হিদার স্পষ্ট করে বলেন, আমরা পরিকল্পনা দেখতে চাই। আমরা চুক্তি সম্পর্কে শুনেছি কিন্তু সেই পরিকল্পনাগুলির মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি হলো স্বেচ্ছাসেবী, নিরাপদ এবং সম্মানিত প্রত্যাবর্তন। সুতরাং এটি স্বেচ্ছায় হতে হবে। মানুষ যাতে মনে করে বাড়ি তাদের জন্য নিরাপদে। যদি তারা মনে করে যে নিরাপদ নয় তবে তা আমলে নিতে হবে। তাদের একটি সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে হবে। জোরপূর্বক কাউকে দেশে ফেরাতে বাধ্য করা যাবেনা। আগে দেখতে হবে তারা নিরাপদে এবং নিজ বাড়িতে যেতে প্রস্তুত রয়েছে কি না।

হিদার ন্যুয়ার্ট বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, আমি মনে করি এটা সম্ভবত নিজ দেশে ফেরার নিরাপদ সময় নয়, তবে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের সাথে আমরা এ বিষয়ে আরো আলোচনা করবো।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/ওটি/১৩২০ঘ.)