বিক্ষোভে সতর্কতা

লন্ডনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

লন্ডনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

লন্ডন থেকে মুশফিকুল ফজল আনসারী, জুলাই ১২ (জাস্ট নিউজ): চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রাসেলসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান শেষে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবার পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যে এলেন তিনি।

লন্ডনের স্ট্যান্ডস্টেড এয়ারপোর্টের বিশেষায়িত বিমান ঘাঁটি হ্যারডস এভিয়েশনে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১.৫০ মিনিটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বহনকারি এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানটি অবতরন করে।

বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখানে ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়াম ফক্স ও লন্ডনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত উডি জনসন। সংক্ষিপ্ত অভ্যর্থনা পর্ব শেষে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের নির্ধারিত হেলিকপ্টার-মেরিন ওয়ান-এ চড়ে উপস্থিত হন সেন্ট্রাল লন্ডনের উইনফিল্ড হাউসে, যেটা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাসভবন। লন্ডন সফরে উইনফিল্ডে হাউসেই রাত্রি যাপন করবেন তিনি। এদিকে ট্রাম্পের সফরকে ঘিরে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন বিরোধী আর সমালোচকরা। বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্র নাগরিদকের সতর্ক থাকার জন্যও ইতিমধ্যে পরামর্শ দেয়া হয়েছে দূতাবাসের পক্ষ থেকে।

 

সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বৃটেনের রানীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত এবং প্রধানমন্ত্রীর থেরেসা মে'র সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।২০১৬ সালে দায়িত্ব নেবার পর এটাই তাঁর প্রথম যুক্তরাজ্য সফর। এ সফরকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই বির্তক ছিলো, কেউ ট্রাম্পকে সফরে আসতে দেবার পক্ষে আর কেউ বিপক্ষে যার রেশ দেখা গেছে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টেই।

বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড শায়ারের ব্লেইনহেম প্রাসাদে ডিনারে যোগ দিবেন ট্রাম্প-দম্পতি।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র সঙ্গে এক যৌথ সামরিক মহড়া প্রত্যক্ষ করবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বাকিংহামশায়ার ভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিকালে উইন্ডসর ক্যাসেলে রানী এলিজাবেথের সঙ্গে চা-চক্রে মিলিত হবেন ট্রাম্প এবং মেলানিয়া। দুইদিনের অফিসিয়াল কর্মব্যস্ততা শেষ করার পরই ট্রাম্প অবকাশ উদযাপনে চলে যাবেন স্কটল্যান্ড।

রবিবার সন্ধ্যায় হেলসিংকির উদ্দেশ্য স্কটল্যান্ড ত্যাগ করবেন তিনি।

 

এদিকে প্রেসিডেন্টের যুক্তরাজ্য সফরের সময় চলাচলে সতর্কতা এবং নিয়ন্ত্রণ রাখতে পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্রাম্পের সফরকালে অনেকগুলো বিক্ষোভের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এসব সভা-সমাবেশ এবং বিক্ষোভের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নাগরিকদের সতর্ক থাকার এবং দূরত বজায় রাখার জন্য বলা হচ্ছে। যদি কেউ আক্রান্ত হোন তাহলে যেন সতর্ক প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন কারণ তা সহিংস হয়ে উঠতে পারে।

বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, বিক্ষােভ যেন শান্তিপূর্ণ এবং অনুসরণীয় হয়। আর কেউ বিশৃঙ্খল হলে তা সহ্য করা হবে না।

(জাস্ট নিউজ/জিএস/২১৩৫ঘ)