ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের কোচ মাশরাফি-সাকিব

ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের কোচ মাশরাফি-সাকিব

ঢাকা, ১ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : শিরোনাম দেখে মনে হতে পারে, অবসরে যাওয়ার আগেই কি কোচিং পেশায় নাম লেখালেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই বড় তারকা? জবাবে বলা যায়, হ্যাঁ, অনেকটা এরকমই। আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে সিনিয়র খেলোয়াড় কাম অধিনায়ক হিসেবে টাইগারদের কোচিংয়ের দায়িত্ব এই দুজনের ওপরেই বর্তেছে।

সোমবার বছরের প্রথম দিনে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বললেন বিসিবি প্রধান নাজুমল হাসান পাপন।

প্রধান কোচ চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহে হুট করে পদত্যাগ করায় বিপাকে পড়ে যায় বিসিবি। সেই হাথুরু আবার শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ হয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছেন। জবাব দেওয়ার একটা বিষয় তো আছেই। কিন্তু উপযুক্ত কোচ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরে মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন নাজমুল। আজ আবারো প্রথম দুজনের সঙ্গে আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত জানান তিনি।

বিসিবি প্রধান বলেন, 'এই সিরিজে বাইরে থেকে কোনো কোচ আসছে না।

মোটামুটি আগেই আমরা আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। পরের সিরিজের আগে অবশ্যই কোচ নিয়ে আসতে পারলে নিয়ে আসব। বোর্ড থেকে যে প্রতিনিধি থাকে, সাপোর্ট সার্ভিস যা থাকে, সেরকমই থাকছে। পাশাপাশি আমাদের খালেদ মাহমুদ সুজন, যে সবসময় ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত, বোর্ড ও ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা ইন্টারলিংক হিসেবে কাজ করত, সেটা সে থাকছে। যেহেতু সে থাকছে, তাকে একটা পদবী দিয়ে রাখা হচ্ছে। '

বিসিবি প্রধানের এই বক্তব্য সম্পর্কে আগেই মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। প্রধান কোচ ছাড়াই সুজনের তত্বাবধানে ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য কদিন আগেই প্রস্তুতি শুরু করেছে দল। এছাড়া আছেন ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ সহ সাপোর্ট স্টাফের বাকিরাও চলে আসবেন দ্রুতই।

তবে বোর্ড সভাপতি মূল দায়িত্ব দিচ্ছেন সিনিয়র ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে দুই অধিনায়ক মাশরাফি ও সাকিবকে, 'আমাকে যদি আপনারা জিজ্ঞেস করেন, এবার কোচ হচ্ছেন সাকিব ও মাশরাফি। আমার যা মনে হয়। সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ওরা বেশ আত্মবিশ্বাসী যে এই সিরিজ নিজেরাই সামলাতে পারবে। এবার তাই ক্রিকেটাররাই কোচ। এছাড়া সাপোর্ট স্টাফ যারা আছে, তারা তো থাকবেই।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২৩৪ঘ.)