ইমরুল-লিটনের অর্ধশতক, জয়ের পথে বাংলাদেশ

ইমরুল-লিটনের অর্ধশতক, জয়ের পথে বাংলাদেশ

ঢাকা, ২৪ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে ২৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ দল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ হয়ে রিভিউ নিয়ে নতুন জীবন পাওয়া লিটন কুমার দাস ৬৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। অপরপ্রান্তে ৫০ রানে নিয়ে ব্যাট করছেন ইমরুল কায়েস।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২০ ওভারের খেলা শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২৩ রান।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দাপুটে জয়ে ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় টাইগাররা। সেই লক্ষ্যে বেশ ভালোভাবে কাজ সারলেন বোলাররা। শেষটা দুর্দান্ত করে প্রতিপক্ষকে মাত্র ২৪৬ রানে আটকে রাখলেন তারা।

এ ম্যাচে বড় নিয়ামক হতে পারে শিশির। এটিই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে দুদলের। তাই বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথমেই তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দেন তিনি। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি করে ফেরান প্রতিশ্রুতিশীল ও সম্ভাবনাময়ী এ ক্রিকেটার।

মাঝের গল্পটা শুধু সফরকারীদের। ১৮ রানেই মাসাকাদজাকে হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। পরে ব্রেন্ডন টেইলরকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেন সিফাস জুওয়াও। দুর্দান্ত খেলছিলেন এ জুটি। প্রতি ওভারে পাঁচের ওপরে রান তুলছিলেন তারা। ধীরে ধীরে চোখ রাঙাতে থাকেন টেইলর-জুওয়াও। তবে তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৭০ রানে ফজলে মাহমুদের ক্যাচ বানিয়ে জুওয়াওকে (২০) ফেরান তিনি।

কিন্তু থেকে যান টেইলর। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন শন উইলিয়ামস। তাদের ব্যাটে ছুটছিল জিম্বাবুয়ে। এতে নেতৃত্ব দেন টেইলরই। অবশেষে থামে তার চোখরাঙানি। দলীয় ১৪৭ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ক্যারিয়ারের ৩৫তম ফিফটি তুলে নেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৭৩ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৭৫ রানের দর্শনীয় ইনিংস খেলে ফেরেন টেইলর। তার বিদায়ে ভাঙে ৭৭ রানের জুটি।

সহযোদ্ধা হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি উইলিয়ামস। প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনিও। আবারো শিকারী সাইফউদ্দিন। দুর্দান্ত কাটারে উইলিয়ামসকে (৪৭) মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি।

পরে ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা। ধীরে ধীরে সেট হয়ে যান তিনি। এক পর্যায়ে ব্যাটে ছোটাতে থাকেন রানের ফোয়ারা। তাতে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তবে হঠাৎই খেই হারান রাজা। মাশরাফির শিকারে পরিণত হন তিনি। মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। তখন পর্যন্ত ইনিংসের নাটাই ছিল জিম্বাবুয়ের হাতে।

তবে খানিক বাদে মুরকে মিরাজের তালুবন্দি করে উইকেটের খাতা খোলেন মোস্তাফিজুর রহমান। অল্প ব্যবধানে চিগুম্বুরাকে সাইফ ফেরালে হঠাৎ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান তুলতে সক্ষম হয় লালচাঁদ রাজপুতের দল।

এদিন বাংলাদেশের সেরা বোলার সাইফউদ্দিন। ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে ৪৫ রান খরচায় ১ মেডেনসহ ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া মাশরাফি, মোস্তাফিজ, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহর শিকার ১টি করে উইকেট।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২০১২ঘ.)