হোয়াটওয়াশ করেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

হোয়াটওয়াশ করেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

ঢাকা, ২৬ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : তিন ম্যাচের সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াটওয়াশ করে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। শুক্রবার বাংলাদেশে টসে জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগায় ট্রেইলর-উইলিয়ামস। বাংলাদেশের সামনে ৫ উইকেটে ২৮৬ রানের লম্বা টার্গেট দেয় তারা। জবাবে ৪৭ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষে পৌঁছে যায় বাংলাদেশে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করে সোম্য ১১৭ রান (৯২ বল) এবং ইমরুল করেন ১১৫ রান (১১২ বল)। অপরাজিত মুশফিক ২৮ ও মিথুন করেন ৭ রান।

রানের খাতা খোলার আগেই বাংলাদেশ লিটন দাসকে (০) হারায়। এরপর দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে সৌম্য ও ইমরুল বাংলাদেশকে চাপ মুক্ত করেন। এ ম্যাচে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ জুটে গড়েন সৌম্য-ইমরুল ২১৭ ।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২৯ রান করেন উইলিয়ামস এবং ট্রেইলর করেন ৭৫ রান।

গত দুই ম্যাচে দারুণ খেলা ইমরুল কায়েস এদিনও ছিলেন বেশ উজ্জ্বল। প্রথম ম্যাচে ১৪৪ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ম্যাচে শতকের কাছাকাছি গিয়েও ৯০ রান করে আউট হন তিনি। অবশ্য তৃতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরিটা করেই ছেড়েছেন। খেলেছেন ১১৫ রনের দারুণ একটি ইনিংস।

এক সিরিজে ধারাবাহিকভাবে এমন রান করে নির্বাকদেরও একটি বার্তা দিয়েছেন, ভালো কিছু করার সামর্থ্য তারও আছে। দুটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরিতে এই সিরিজে তার মোট সংগ্রহ ৩৪৯ রান।

টানা তিন ম্যাচে দারুণ খেলে ইমরুল একটি রেকর্ডও গড়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে যেকানো দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড গড়েছেন। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তামিমের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৩১২ রান। এবার তাঁকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।

অবশ্য ২০১৫ বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ ৩৬৫ রান করেছিলেন। যদিও সেটি কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়।

দারুণ উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন সৌম্য সরকারও। হঠাৎ তৃতীয় ওয়ানডের দলে জায়গা পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। খেলেছেন ১১৭ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। যাতে বল খরচ করেছেন ৯২টি। ৯টি চার ও ৬টি ছক্কার মার রয়েছে তার এই ইনিংসে।

এই দুজনের চমৎকার দুটি সেঞ্চুরির পর অন্যদের কিছু করার খুব একটা প্রয়োজনই হয়নি। আর জিম্বাবুয়ে বোলাররাও কোনো রকম পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সামনে।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী জিম্বাবুয়ে ২৮৬ রান করে শন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরি ও ব্রেন্ডন টেইলরের চমৎকার ব্যাটিং দৃঢ়তায়। অবশ্য তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (২) ও সিফাস জুয়াও (০) দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পথে দারুণ ভূমিকা রাখেন ব্রেন্ডন টেইলর ও সিকান্দার রাজা। টেইলর ৭৫ ও রাজা ৪০ রান করে সাজঘরে ফিরলেও উইলিয়ামস শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে এগিয়ে নিতে মূল ভূমিকা রাখেন।

উইলিয়ামস ১৪৩ বলে ১২৯ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। যাতে ১০ টি চার ও একটি ছক্কার মার রয়েছে। আর মুর ২১ বলে ২৮ রান করেন।

বাংলাদেশের কোনো বোলারই জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে খুব একটা চাপ প্রয়োগ করতে পারেনি। নাজমুল ইসলাম অপু ৫৮ রানে দুটি এবং সাইফউদ্দিন ও আবু হায়দার রনি একটি করে উইকেট পান।

এনিয়ে বাংলাদেশ ২৩তম সিরিজ জিতে নিয়েছে। অবশ্য এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বেশ ভালো। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল লাল-সবুজের দল। সে ধারাবাহিকতায় তাদের বিপক্ষে ১০ বার সিরিজ জিতেছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/২০০০ঘ.)