বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলে ভারতীয় কোচ

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলে ভারতীয় কোচ

ঢাকা, ১১ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : মাশরাফি, সাকিব, তামীম, মুশফিকুর রহিমদের কোচের সন্ধানে যখন বিফল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তখন বাংলাদেশ নারী দলের কোচিং স্টাফের সংখ্য বাড়ছে। বাংলাদেশ নারী দলের হেড কোচ হিসেবে ইংলিশ ডেভিড ক্যাপেল আছেন।

বুধবার সালমা, জাহানারা, রোমানারা পেলেন সহকারী কোচ, ভারতীয় দেবি পালসিকারকে। তবে তিনি বাংলাদেশ নারী দলে প্রথম ভারতীয় কোচ নন। এর আগে সালমা, জাহানারাদের কোচের দায়িত্ব পালনের অতীত আছে ভারত নারী দলের সাবেক ক্রিকেটার মমতা মাবেনের।

আগামী নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসছে নারী টি-২০ বিশ্বকাপ। তার আগে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে পেরুতে হবে আগামী জুলাই মাসে নেদারল্যান্ডসে বাছাইপর্বের বাধা। টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চ্যালেঞ্জটা তাই আপাতত: বড় হয়ে উঠেছে বিসিবি’র কাছে। ভারত নারী ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার, ১ টেস্ট এবং ১৫ ওডিআই ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দেবি পালসিকারকে ৯ মাসের চুক্তিতে সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।

মহারাষ্ট্রের মেয়ে দেবি পালসিকার ১৯৯৮ থেকে ২০ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট খেলেছেন। ভারত জাতীয় দলকে সার্ভিস দিয়েছেন ৩ বছর, ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত। ২০০৯ সাল থেকে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু তার। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ভারত জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আছে তার। কোচিং ক্যারিয়ারে ১০ মাসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ নারী দলকে টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের বাধা পেরুনোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন দেবি পালসিকার।

হাতে সময় খুব একটা পাচ্ছেন না। নারী টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে পার করতে হবে ব্যস্ত সময়। তবে দ্রুত পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে বলে আশাবাদি ৩৮ বছর বয়সী দেবি পালসিকার- ‘যদি দ্রুত মেয়েদের বুঝতে পারি, তাহলে পরিবর্তন আনতে খুব বেশি সময়ের দরকার নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে আমি ফোকাস করেছি। টি-টোয়েন্টির দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে হবে। নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপের দিকে যাত্রা শুরু হবে। সুতরাং সবগুলো স্টেপ নিয়ে না ভেবে আমরা আপাতত একটা একটা আসর ধরে এগোবো।’

দেশের বাইরে এই প্রথম কোচিংয়ের দায়িত্ব নিলেও বাংলাদেশ দল সম্পর্কে প্রাক ধারনা আছে দেবি পালসিকারের। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সমস্যাটা কৌশলগত, দায়িত্ব নেয়ার আগে তা চিহ্নিত করেছেন তিনি- ‘গত ছয় সাত বছর ধরে আমি বাংলাদেশ দলকে দেখেছি। তাদের মধ্যে শক্তি ও আত্মবিশ্বাস আছে। আমার মনে তাদের মধ্যে কিছুটা কৌশলগত ও দলীয় প্রচেষ্টার অভাব আছে।’ বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পাওয়ার হিটিংয়ের সামর্থ নেই, তা জেনে দেবি পালসিকার পাওয়ার হিটিংয়ের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে চান।

সালমা, জাহানারার খেলা দেখে মুগ্ধ দেবি বাংলাদেশ নারী দলের মধ্যে দারুন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন- ‘সালমা আছে। জাহানারা আছে, সে অধিনায়কত্বও করেছে। আরো দুই-তিনজন আছে, যাদের খেলাটা ভাল লেগেছে। আমার মনে হয় তাদের মধ্যে খুব ভালো সম্ভাবনা আছে।’

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২১২৮ঘ.)