বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ

ঢাকাকে উড়িয়ে দিল সিলেট

ঢাকাকে উড়িয়ে দিল সিলেট

সিলেট, ৪ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরের প্রথম ম্যাচে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডাইনামাইটসকে উড়িয়েই দিয়েছে সিলেট সিক্সার্স। ঢাকার দেয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্যকে এক উইকেট হারিয়েই টপকে যায় তারা।

আসরের প্রথম দুই হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেয় স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্স তাদের ঝুলিতে। ওপেনার উপুল থারাঙ্গা করেছেন ৪৮ বলে অপরাজিত ৬৯ আর ফ্লেচার করেছেন ৫১ বলে ৬৩ রান। ১৬.৫ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৩৭ রান তুলে নেয় সিলেট।

কাগজে-কলমে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবচেয়ে শক্তিশালী দল ঢাকা ডায়নামাইটস। তবে তারকাই যে সবকিছু নয়, প্রথম ম্যাচে সেটাই দেখাল টুর্নামেন্টের নতুন দল সিলেট সিক্সার্স। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও দুর্দান্ত ছিল নাসির হোসেনের দল।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ঢাকা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ডায়নামাইটসের শ্রীলংকান রিক্রুট কুমার সাঙ্গাকারা। এছাড়া এভিন লুইস ২৬, সাকিব আল হাসান ২৩ ও ক্যামেরন ডেলপোর্ট ২০ রান করেন।

শনিবার দুপুর ২টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকা ডায়নামাইটসের। ইনিংসের প্রথম ওভারের দলীয় মাত্র ২ রানেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মেহেদি মারুফ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গেলে ডায়নামাইটসের প্রথম উইকেটের পতন হয়।

নাসিরের করা প্রথম ওভারের শেষ বলে স্লগ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে হুইটেলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরা মারুফ রানে খাতাই খুলতে পারেননি। মারুফের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামেন ডায়নামাইটসের শ্রীলংকান রিক্রুট কুমার সাঙ্গাকারা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এভিন লুইসকে সঙ্গে নিয়ে ৪১ বলে স্কোরবোর্ডে ৫৪ রান যোগ করে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন তিনি।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে আবারো আঘাত হানেন নাসির। এবার তার শিকার ডায়নামাইটসের আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এভিন লুইস। ওভারের পঞ্চম বলে ছয় মারতে গিয়ে লং অফ বাউন্ডারিতে আবুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে ২৬ রান করেন লুইস।

লুইসের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি সাঙ্গাকারাও। নতুন ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহে আরো ১০ রান যোগ করার পর লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে মিডঅফে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন সাঙ্গা।

সাঙ্গাকারার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন সাকিব আল হাসান। মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে সাকিব ইনিংস মেরামতের প্রচেষ্টা চালালেও দুই ব্যাটসম্যানের ভুল বোঝাবুঝিতে মোসাদ্দেক রান আউটে কাটা পড়লে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। দলীয় ৭৬ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে ৬ রান করেন মোসাদ্দেক।

চতুর্থ উইকেট পতনের পর ব্যাট করতে নামেন ঢাকা ডায়নামাইটসের ক্যারিবীয় রিক্রুট কিয়েরন পোলার্ড। তবে উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনিও। দলীয় ৯৮ রানে আবুল হাসানের বলে মিডঅফের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাসির হোসেনের হাতে ধরা পড়ার আগে ৭ বলে ১১ রান করেন তিনি।

পোলার্ডের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহে আরও ১৬ রান যোগ করার পর সাজঘরের পথ ধরেন সাকিব। ইনিংসের ১৭তম ওভারে দলীয় ১১৪ রানে প্লাঙ্কেটের বলে মিড অফে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে সাকিব করেন ২৩ রান।

দলের ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর ব্যাট করতে নামা আদিল রশিদও সুবিধা করতে পারেননি। আবুল হাসানের করা পরের ওভারে দলীয় ১১৯ রানে ফ্লেচারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৩ রান করেন তিনি।

এরপর অষ্টম উইকেট জুটিতে আবু হায়দারকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ ১৪ বলে ১৭ রান তুলে দলকে ১৩৬ রানের পুঁজি এনে দেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। ১৩ বলে ২০ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান আবু হায়দার করেন ৮ বলে ৭ রান।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১৮০৩ঘ.)