আফগানদের ১৩৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

আফগানদের ১৩৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

ঢাকা, ৫ জুন (জাস্ট নিউজ) : দেরাদুনে আফগানিস্তান-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে থেকেই রশিদ খানকে নিয়ে আলোচনা। আফগান স্পিনারকে নিয়ে এত মাতামাতিতে বিরক্তি লুকাতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু তার আইপিএল সতীর্থ ঠিকই আলোচিত হলেন। তার স্পিনে আরেকবার অসহায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান করেছে বাংলাদেশ।

দেরাদুনে মঙ্গলবার সিরিজে ফেরার লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। দলে দুটি পরিবর্তন এসেছে। সৌম্য সরকার ও আবু হায়দার রনির জায়গা হয়েছে আবু জায়েদ রাহী ও আবুল হাসানের বদলে।

প্রথম ম্যাচে ৪৫ রানে হারার পর বাংলাদেশ মঙ্গলবার ধীর শুরু করে। প্রথম ওভার মুজিব উর রহমানকে দেখেশুনে খেলেছেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। মাত্র একটি রান আসে লিটনের ব্যাটে। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে শাপুর জাদরানের শিকার হন। ডিপ স্কয়ার লেগে তাকে সহজ ক্যাচে ফেরান রশিদ।

ক্রিজে নামেন সাব্বির। তামিমের সঙ্গে তার জুটি ছিল মাত্র ২০ বলের। ২৯ রানে তাদের বিচ্ছিন্ন করেন মোহাম্মদ নবী। ৯ বলে ৩ চারে ১৩ রান করে লং অনে সামিউল্লাহ সেনওয়ারির সহজ ক্যাচ হন সাব্বির।

২ উইকেট হারানোর পর তামিম ও মুশফিকুর রহিমের ৩২ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। দশম ওভারের পঞ্চম বলে স্টাম্পিং হয়ে নবীকে উইকেট দেন মুশফিক। তার ১৮ বলে ২২ রানে ইনিংসে আছে একটি করে চার ও ছয়।

মাঠে নেমেই প্রথম বলে ছয় মারেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু এমন শুরু ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ৮ বল খেলে ১৪ রানে করিম জানাতে কাছে বোল্ড হন এই অলরাউন্ডার। তামিমের সঙ্গে তার জুটি মাত্র ১৮ রানের।

তামিম ও সাকিবকে বেশিদূর এগোতে দেননি রশিদ। দুজনের জুটি ছিল মাত্র ৩.১ ওভারের, ৮ রানের। রশিদ তার তৃতীয় ওভারে জাদু দেখান, যাতে বাংলাদেশ ৩ রানেই হারিয়েছে ৩ উইকেট।

ওই ওভারের প্রথম বলে সাকিব লং অনে নাজিবউদ্দৌলা জাদরানের ক্যাচ হন। ৭ বলে ৩ রান করেন বাংলাদেশি অধিনায়ক। তারপর চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ফিরেছেন তামিম ও মোসাদ্দেক হোসেন। তামিম ৪৮ বলে ৫ চারে ৪৩ রান করে বোল্ড হন। মোসাদ্দেক খুলতে পারেননি রানের খাতা, রশিদের তৃতীয় শিকার হন এলবিডাব্লিউ হয়ে। আবু হায়দার শেষ বল ঠেকিয়ে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করেন টি-টোয়েন্টির শীর্ষ বোলারকে।

রশিদ তার পরের ওভারে সৌম্য সরকারকে ৩ রানে আসগর স্তানিকজাইয়ের ক্যাচ বানান। ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন গত ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।

১০৮ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ হায়দার ও নাজমুল ইসলাম অপুর অপরাজিত জুটিতে ১৩ বলে ২৬ রান করে।

১৪ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন হায়দার।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, রুবেল হোসেন, নাজমুল ইসলাম ও আবু হায়দার রনি।

আফগানিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ শাহজাদ (উইকেটরক্ষক), উসমান ঘানি, আসগর স্তানিকজাই (অধিনায়ক), শফিকউল্লাহ, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, সামিউল্লাহ সেনওয়ারি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, করিম জানাত ও শাপুর জাদরান।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২১০ঘ.)