গোলকিপারই ডুবালো আর্জেন্টিনাকে!

গোলকিপারই ডুবালো আর্জেন্টিনাকে!

ঢাকা, ৩০ জুন (জাস্ট নিউজ) : বিশ্ব জুড়ে আর্জেন্টিনার কোটি কোটি ভক্ত-সমর্থক। দল জিতলে তারা যেমন আনন্দ মিছিল বের করেন ঠিক তেমনি হারলে হৃদয় ভাঙে তাদের। ফ্রান্সের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আর্জেন্টিনার সমর্থকরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই পরাজয়কে তারা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। দলের পরাজয়ের জন্য মেসিদের পাশাপাশি সমালোচনা হচ্ছে গোলরক্ষক আরমানিকে নিয়েও। হয়তোবা ম্যাচটি জিতলেও এ গোলকিপার নিয়ে বেশিদূর যেতে পারতেন না মেসিরা। টিভিতে খেলা দেখে এমন মন্তব্য করেছে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।

এদিকে ম্যাচটা জিততে হলে ফরাসি ফুটবলের গতির রেশ টেনে ধরতে হতো আর্জেন্টিনাকে। গ্রিজম্যান, এমবাপ্পে, জিরুদদের পাল্টা আক্রমণটাকে রুখতে হতো। আর ছন্দময় খেলাটা খেলে গোল আদায় করে নিতে হতো মেসি-মারিয়াদের। সেখানেই মার খেল আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের গতিটাকে তো রুখতে পারল না সাম্পাওলির দল। হারলেও মেসিদের ছন্দময় ফুটবলটা সবার মন ভরিয়েছে। ফলাফলটাও তাই অনুমিত। ফ্রান্সের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের নবম মিনিটেই পিছিয়ে পড়তে পারত আর্জেন্টিনা। আতোয়ান গ্রিজম্যানের বুলেট গতির শটটা গোলবারে লেগে ফিরে আসে। গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়নি দেশমের দলকে। ১১তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের গতির সঙ্গে পেরে ওঠনি মাকোর্স রোহো। উপায় না দেখে, ডি বক্সে পিএসজি তারকাকে ধাক্কা মারেন তিনি। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে মোটেও ভুল করেনি ইরানের রেফারি আলিরেজা ফাগানি। স্পট কিক থেকে গোল করতে সময় নেননি গ্রিজম্যান।

ম্যাচে তখন ফরাসিদের আধিপত্য। ফুটবলের ওয়েবসাইটগুলোর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রথম ২৫ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ৮০ ভাগ বলের দখল রাখে ফ্রান্স। ২১তম মিনিটে আবার পিছিয়ে গড়তে পারত আর্জেন্টিনা। ফরাসি রক্ষণভাগ থেকে দেওয়া পল পগবার দেওয়া বলটা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ নেন এমবাপ্পে। এবার ডি বক্সের ঠিক বাইরে ট্যাগলিয়াফিকো ধাক্কা মারেন এমবাপ্পকে। পগবার নেওয়া ফ্রি কিকটা আর্জেন্টিনার গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ঠিক আগে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। এই সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও নিজেদের কাছে নিয়ে নেন মেসিরা। অসাধারণ এক শটে ফ্রান্সের গোলপোস্ট কাঁপান ডি মারিয়া। বিরতির পর মার্কাদোর গোল ফরাসিদের বিস্মিত করে দেয়। তবে কয়েক মিনিট পর পাভার্দ ও এমবাপ্পে আর্জেন্টিনার উল্লাস থামিয়ে দেন। শেষ মূহূর্তে আগুয়েরো গোল করে রোমাঞ্চটা ধরে রাখলেও আর্জেন্টিনার হার ঠেকানো যায়নি।

এই ম্যাচে গতির ফুটবলের কাছে হার মেনেছে ছন্দময় ফুটবল। বিশেষ করে এমবাপ্পের গতির কাছে ওতোমেন্দি, মাশ্চেরানোরা ছিলেন অসহায়। এছাড়া গ্রিজম্যান, মাতুইদি ও পল পগবাও গতিময় ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বসেন। ফরাসি দলটা এই গতি ধরে রাখলে এবারের আসরে তাদের ঠেকানো মুশকিলই হবে।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২২১৭ঘ.)