ব্যাটে-বলে সাকিবের দুর্দান্ত লড়াই, কিন্তু...

ব্যাটে-বলে সাকিবের দুর্দান্ত লড়াই, কিন্তু...

ঢাকা, ১৫ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : বল হাতে ৬ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতেও দুর্দান্ত লড়াই করলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু তাকে সহায়তা করার মতো কাউকে পাওয়া গেল না। বিশেষ করে ব্যাটিং লাইন আবার হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল। পরিণতিতে আরেকটি পরাজয় বরণ করতে হলো। জ্যামাইকায় দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ হারল ১৬৬ রানে।

সাকিবদের চমকে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১২৯ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য প্রথম ইনিংসে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৫৪ ও বাংলাদেশ ১৪৯) অনেক এগিয়ে থাকার সুবাদে জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৩৫ রান। বিশাল টার্গেট। কিন্তু এই বিরাট স্কোরের সামনে লড়াই না করে আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশ।

সাকিব করেন ৫৪ রান। এটিই বাংলাদেশের এককভাবে সবোর্চ্চ স্কোর। এছাড়া লিটন দাস ৩৩, মুশফিকুর রহীম ৩১ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ৪৭ রান করে আশা জাগানিয়া তামিম ইকবাল এই ইনিংসে ০ রানে বিদায় নেন।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটপ্রাপ্তিতে বেশ সফলতা দেখায় বাংলাদেশ। ১২৯ রানেই অলআউট করে দিয়েছে তারা স্বাগতিকদের। এর মধ্যে সাকিব একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। এ ছাড়া মিরাজ নিয়েছেন দু’টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে ওইভাবে ধস নামানোটা বাংলাদেশের বোলারদের জন্য সফলতা। কিন্তু এতে লিড দাঁড়িয়ে গেছে ৩৩৪ রান। ফলে লিডের এ চোখ রাঙ্গানি, তাতে ভয়ে প্রকম্পিত হওয়ার উপক্রম ওয়েস্ট ইন্ডিজের। যেখানে বিগত তিন ইনিংসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ বাংলাদেশের ১৪৯। সেখানে তিন শতাধিক রানের চ্যালেঞ্জ তাড়া করা একটু বেশিই বিলাসিতা।

আগের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ১৪৪ করার পর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে কিছু উন্নতি। অর্থাৎ এবার অলআউট তারা ১৪৯ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কী বুঝে যেন ফলোঅন করায়নি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারো পরে তারা বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে। দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার পর খেলতে নেমে ১৯ রানে এক উইকেট নিয়ে শেষ করে দিন। কাল সকালে আবারো ব্যাটিং করতে নেমে হারিয়েছে আরো ৪ উইকেট। এ দিনের সকালের ৪ উইকেটের তিনটি উইকেটই নেন সাকিব আল হাসান। ওপেনার ব্রেটওয়েট, স্মিথ, কেমো পল, পাওয়েলের উইকেট নিয়েছেন সাকিব। অন্যটি নেন তাইজুল। হোপের উইকেট নেন তাইজুল। লাঞ্চের ঠিক আগে আরো এক উইকেটের পতন ঘটান। সেটা নেন জায়েদ রাহী। লাঞ্চের পর খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারায় চেইসকে। মেহেদি হাসান মিরাজের শিকারে পরিণত হন তিনি। এরপর সাকিব আবারো বোলিংয়ে ফিরে দুই উইকেট নিয়ে অলআউট করে দিতে সক্ষম হন। সাকিব নিলেন এ ইনিংসে ৬ উইকেট। ১৭ ওভার বোলিং করে পাঁচটি মেডেন ৩৩ রানে নেন তিনি উইকেটগুলো।

এর আগে বাংলাদেশ ইনিংসের ব্যর্থতাচ্ছন্নটা আবারো ফুটে ওঠে। প্রথম টেস্টের যে দৃঢ়তা দেখিয়েছিল, তা দেখাতে চরমভাবে ব্যর্থ ছিলেন তারা। গোটা ইনিংসে একটি হাফ সেঞ্চুরিও নেই। তামিম সর্বোচ্চ ৪৭ করে আউট হয়েছিলেন। ১০৫ বলে ওই রান করেন তারা। এরপর সাকিব আল হাসানের ৩২ ও মুশফিকুর রহীমের ২৪ রান ছিল উল্লেখযোগ্য। অপর দু’টি ডাবল ফিগারের মধ্যে তাইজুলের ১৮ ও লিটন দাসের ১২ রান উল্লেখ করার মতো। ৪৬.১ ওভারেই অলআউট হয়ে যান তারা। হোল্ডার নেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া গ্যাব্রিয়েল ও কেমো পল নেন দু’টি করে উইকেট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামে দ্বিতীয় ইনিংসে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/০৯১৫ঘ.)