শিক্ষক লাঞ্ছিত করলেন এমপি রতন, ছাত্রদের পেটালেন ভাই

শিক্ষক লাঞ্ছিত করলেন এমপি রতন, ছাত্রদের পেটালেন ভাই

সুনামগঞ্জ, ২৮ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সদরের জনতা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কর্তৃক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মৌনমিছিলে এমপির ছোট ভাইয়ের নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের মিছিলে এমপি সমর্থক শতাধিক ব্যক্তি হামলা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। হামলাকারীরা বেশকিছু শিক্ষার্থীকে লাটিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আলমগীর কবিরের দোকানঘর, বাসাবাড়িতে ভাঙচুর করেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমপি রতনের ভাই মোজাম্মেল হক রুকন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিছ, সদর ইউপির চেয়ারম্যান সেলিম প্রমুখ হামলায় নেতৃত্ব দেন। শিক্ষার্থীদের ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দশম শ্রেণির ছাত্র ইয়াসিন আরাফাত, সাদাদ হাসান ও আরিফের মাথায় লাঠির রক্তাক্ত আঘাত রয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও উল্টো শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করার অভিযোগ আনা হয়েছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। উপজেলা সদরে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার ধর্মপাশা উপজেলা সদরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে জনতা উচ্চবিদ্যালয়ের আঙিনায় ক্যান্টিন নির্মাণ বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। হাজার হাজার মানুষের সামনে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে গতকাল উপজেলা সদরে শিক্ষার্থীরা একটি মৌনমিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এলে সেখানে আগে থেকে প্রস্তুত এমপি সমর্থকরা লাটিসোঁটা নিয়ে মিছিলে হামলা চালান। এতে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলমগীর কবিরের দোকান ও বাসায় ভাঙচুর চালান।

এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ছোট ভাই মোজাম্মেল হক রুকন বলেন, ঘটনার সময় আমি ধর্মপাশা ছিলাম না।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদার বলেন, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০১৫ঘ.)