স্বাস্থ্য সচিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ

স্বাস্থ্য সচিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম তৈরি এবং হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা সামগ্রী পৌঁছানো সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ মামলা করা হবে, বলা হয় নোটিশে।

রবিবার (৩ মে) ই-মেইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে জানান নোটিশ প্রেরণকারী মানবাধিকার সংগঠনের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক করোনাকে মহামারি ঘোষণার পরেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম না থাকার বিষয়ে গত ২০ মার্চ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছিল। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারি করেন এবং অন্তর্বর্তী কিছু আদেশ দেন।’

‘আদেশে স্বাস্থ্য সচিবকে দ্রুত ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে বলা হয়। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পিপিই, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, সার্জিকাল মাক্স, গাউন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা যন্ত্রপাতি ও মেডিসিনের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ওই নিরাপত্তা সামগ্রী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছে পৌঁছানোর নির্দেশ দেন।’

নোটিশে বলা হয়, আদালতের ওই নির্দেশ যথাযথভাবে পালিত না হওয়ায় প্রায় তিনশ’র বেশি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর দায় দায় তারা এড়াতে পারেন না। এখনও অনেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সামগ্রী পৌঁছায়নি এমন সংবাদও প্রকাশ হচ্ছে।’

আদালতের ওই নির্দেশনা যথাযথভাবে পালিত না হওয়ায় স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) সিরাজুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল্লাহকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।